ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় চলছে পশু কোরবানি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় চলছে পশু কোরবানি

রাজশাহী: ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন)। মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব এটি।

মহান আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি লাভের আশায় সকালে ঈদের দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজের পর সাধ্যমতো পশু কোরবানি করছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা।

ধর্মীয় রীতি ও বিধি অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার (৩০ জুন) ও শনিবারও (১ জুন) আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি করা যাবে। তাই অনেকে এই তিন দিনের যে কোনো দিন পশু কোরবানি করতে পারবেন।  

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশে মেঘ থাকলেও রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরেনি। সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মধ্যে দিয়েই চলছে পশু কোরবানির কাজ।

রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যেই প্রধান ঈদ জামাতসহ বিভিন্ন এলাকার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের নামাজ শেষ হয়ে যায়। মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিমের (আ.) দেখানো পথে ত্যাগের মহিমা ও উৎসর্গের আনন্দ নিয়ে ধর্মীয় এই উৎসব উদ্‌যাপিত হচ্ছে। ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ তাকবিরে তাশরিক ধ্বনি দিতে দিতে ঈদগাহের জামাতে হাজির হন মুসল্লিরা।

আর নামাজ শেষ করেই পশু কোরবানি শুরু হয়েছে। শহরের পাড়া-মহল্লার গলির মধ্যে, খোলা মাঠে, আবার কারও কারও বাড়ির গ্যারেজে চলছে পশু কোরবানির কাজ। কোরবানির পর অনেকেই আবার পশুর চামড়া ছাড়ানো এবং গোশত কাটাকুটির কাজ শুরু করে দিয়েছেন।  

কেউ কেউ আবার নিজেদের বাড়ির সামনের সড়কে পানি ঢেলে কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য অপসারণের কাজ করছেন। আর সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গরু জবেহ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন ও খাদেমরা। এতিমখানা ও মাদরাসা ছাত্ররাও কোরবানি ও কোরবানির চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর যারা পারছেন তারা নিজেই নিজের কোরবানির পশু জবেহ করছেন।

মহানগরীর আসাম কলোনি বায়তুল আমান জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন আব্দুল নোমান বলেন, আজ ভোর থেকেই আকাশে মেঘ। তাই বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় ঈদগাহে নামাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সোয়া ৮টায় মসজিদেই পরপর দুইটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টা পর্যন্ত ১৫টি পশু কোরবানি করেছেন। এখনও অনেকে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন। দুপুরের নামাজের আগ পর্যন্ত আরও পশু কোরবানি করতে হবে।

এদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) থেকে এবার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার নির্দেশনা থাকলেও শহরের অলিগলিতে যে যার মত কোরবানি করছেন। এতে পুরো শহরেই কোরবানি বর্জ্য ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোস্তাফিজ মিশু জানান, আজকের দিনের মধ্যেই কোরবানি বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের। এজন্য সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোরবানির ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নতুন করে সাজানো হয়েছে। মহানগরীর প্রতিটা ওয়ার্ডে পশু জবহের জন্য সাতটি করে পয়েন্ট করা আছে। ৩০টা ওয়ার্ডে মোট ২১০টি স্থান কোরবানির জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। এখানেই পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বেলা ১১টা থেকে মহানগর এলাকার বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য ওয়ার্ড এবং কেন্দ্র মিলে সিটি করপোরেশনের মোট ১ হাজার ৩৭৭ জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকবেন। পরিষ্কারের পর ছিটানোর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডেই ৫০ কেজি ব্লিচিং ৪০ কেজি চুন দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে মোট ২৪টি ট্রাক ও মোট ২৬টি পানির গাড়ি পরিচ্ছন্নতার কাজে আজকে দিনভর নিয়োজিত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এসএস/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।