ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০০ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যাকাণ্ড: আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:২১ পিএম, জুলাই ৮, ২০২৩
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যাকাণ্ড: আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁ: নওগাঁর মহাদেবপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সখিনা খাতুন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের স্বজনরা।  

শনিবার (৮ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার ছাতুনতলা বাজারে একটি হোটেলে সখিনার পরিবার ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে নিহত সখিনার ছোট বোন সাবিনা খাতুন বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয়েছে আমার বোনকে (সখিনা খাতুন)। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অথচ আমার বোনের হত্যাকারীরা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছেন। অজানা কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এছাড়া মামলার পর থেকে আসামিরা আবারও আমাদের পরিবারের লোকজনদের মারধর এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। এতে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি আমরা পুরো পরিাবার। ‘

তিনি আরও বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের এবং মাঠে ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে গত ২৭ মার্চ আমাদেরই প্রতিবেশী একদল সন্ত্রাসী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তঃসত্ত্বা সখিনাসহ পরিবারের আরও কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত সখিনা গত মাসের ০৮ জুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর পর গত ১২ জুন থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলার পরও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। হত্যাকারীদের বেপরোয়া আচারণ দেখে পুরো পরিবার আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এ অবস্থায় হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনের নিহত সখিনা খাতুনের বাবা সেকেন্দার আলী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন, রুহুল আমিন, আব্দুলি মান্নানসহ নিহতদের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘মারধরের একটি ঘটনায় সখিনার বাবা থানায় মামলা করেছেন। দীর্ঘদিন পর চিকিৎসার এক পর্যায়ে সখিনা মারা গেলে ওই আগের মামলায় ৩০২ ধারা অর্থাৎ হত্যা মামলা সংযুক্ত করা হয়। এ মামালায় আসামিরা আদালত থেকে জামিনে আছেন। এখানে পুলিশের কিছুই করার নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
এসআরএস

বাংলাদেশ সময়: ১১:২১ পিএম, জুলাই ৮, ২০২৩ /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।