ফরিদপুর: ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, আগামী শুষ্ক মৌসুমে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় স্থায়ী সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি তিনি ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি প্যাকেজের অধীনে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম তদারকি করেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় পদ্মা নদীর দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে এ প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক বলেন, যারা ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন তাদের টিন দেওয়া হবে। যারা একেবারে নিঃস্ব ও সহায় সম্বলহীন হয়ে গেছে তাদের সরকারি খাস জমিতে আশ্রায়ণ প্রকল্পের মত ঘর তুলে দিয়ে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার আরও বলেন, নদী ভাঙ্গণের বিষয়টি এরই মধ্যে পানি সম্পদ উপমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে, তিনি শীঘ্রই ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এ সময় ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালী, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউসুফ মাতুব্বরের ডাঙ্গী এলাকায় পদ্মা নদীর দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে গত ১৪ দিনে শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছেন। নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অন্তত ১২ একর ফসলি জমি।
উল্লেখ্য: গত ৮ জুলাই বাংলানিউজে ‘ফরিদপুরে পদ্মার ভাঙনে গৃহহারা শতাধিক পরিবার’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এসএম