ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
বাগেরহাটে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়া সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩টি পদে নিয়োগ দিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।  

নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন মো. এমদাদুল হক নামের এক ব্যক্তি।

তিনি নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরিপ্রার্থী মো. শাকিল হাওলাদারের বাবা।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন করে নিরাপত্তাকর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক নিয়োগের লক্ষ্যে ১৩ জুলাই বাগেরহাট সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আছাদুজ্জামান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর খলিফা তিনটি পদে নিয়োগের জন্য তিনজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চুক্তি করেছেন। নিরাপত্তাকর্মী পদের জন্য চালিতাবুনিয়া এলাকার ফুল মিয়া হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদারের কাছ থেকে ৪লাখ টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আছাদুজ্জামান ও সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর খলিফা। ছয় মাস ধরে জাকির হাওলাদার স্কুলে কাজও করছেন।
এছাড়া আয়া পদের জন্য চালিতাবুনিয়া এলাকার মান্নান পঞ্চায়েতের মেয়ে মাহিনুর আক্তার দুই লাখ এবং অফিস সহায়ক পদের জন্য একই এলাকার আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আছাদুজ্জামান ও সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর খলিফার কাছে।

মো. এমদাদুল হক বলেন, যার যোগ্যতা আছে তার চাকরি হবে, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই টাকার বিনিময়ে চাকরি নিশ্চিত করে দিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা চাই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এসব পদে নিয়োগ হোক।

এদিকে মো. এমদাদুল হক এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক  মো. আছাদুজ্জামান বলেন, আমি কারও কাছ থেকে টাকা নেইনি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যারা ভালো করবে তাদেরই নিয়োগ হবে।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর খলিফা বলেন, নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়া হয়নি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।