ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমি উন্নয়ন কর ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ আদায়ের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভূমি উন্নয়ন কর ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ আদায়ের অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের কাছে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের নামে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

বুধবার (১২ জুলাই) সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ডেকে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকা স্থলে ১৫০ টাকা আদায় করেন ওই ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।

তবে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জানার পর অতিরিক্ত টাকা আদায় তিনি বন্ধ করে দেন।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কানসাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮৮টি পরিবার বসবাস করছেন। সেখানে বসবাসকারীদের বুধবার সকালে মোবাইল ফোনে কল করে ডেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় আরম্ভ করেন মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম। তবে তিনি ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা করে আদায় করতে শুরু করলে সচেতন সুবিধাভোগীরা বাধ সাধে। চেঁচামেচির একপর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে টাকা আদায়কারী নির্ধারিত ৪২ টাকা আদায় আরম্ভ করেন। পরে এ নিয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি যাদের কাছে অতিরিক্ত কর আদায় করেছেন তাদের একশ টাকা করে ফিরিয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, অফিসার তাদের বলেছেন-যারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়েছেন তারা বাড়ির কাগজপত্র , আইডি কার্ড, মোবাইল ফোন ও ১৫০ টাকা করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আমরা অফিসারের কথা মতো এসব নিয়ে আসি। কিন্তু ১৫০ টাকা দেওয়ার পর ওই অফিসার বলেন, এখন আপনাদের নাম কম্পিউটারে দেওয়া হলো চলে যান। আমরা গিয়ে আপনাদের কাজগগুলো দিয়ে আসবো। এ সময় বিষয়টি তারা জানতে পারেন তাদের কাছে ৪২ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

অপর এক ভুক্তভোগী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রী দয়া করে তাদের বাড়ি দিলেও প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন করছে এসব সরকারি চাকরিজীবী। এদের শাস্তি দেওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে মোবারকপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে ৪২ টাকা কর নিচ্ছি এবং কিছু কাগজপত্র আনতে যে খরচ হয়েছে সেজন্য তাদের কাছে ১০০ টাকা করে চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা যদি চান তাহলে তাদের টাকা ফেরত দেব। এরপর তিনি যাদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছিল তাদের ডেকে টাকা ফেরত দেন।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার টাকা কেউ নিতে পারবে না। যদি এমনটি কেউ করে থাকে তা জেনে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তিনি আরও জানান, যারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পেয়েছেন কাছ থেকে শুধু ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারিত ৪২ টাকা নেওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।