ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩ স্থাপনাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩ স্থাপনাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচালিত অভিযানে ২৩ স্থাপনাকে তিন লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করা হয়।

 

এ ছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ৭৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ চিরুনি অভিযান চালানো হয়েছে।  

পাশাপাশি সচিবালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার, কবরস্থান, মার্কেট ইত্যাদি স্থান ও স্থাপনায়  এই বিশেষ চিরুনি অভিযানের ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়।  

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) করপোরেশনের আওতাধীন কলাবাগান, লেক সার্কাস, মতিঝিল, ফকিরাপুল, লালবাগ, ইমামগঞ্জ, চাম্পাতলী, ওয়ারী, খিলগাঁও, মান্ডা ও ডেমরা এলাকায় অভিযান চালায় ডিএসসিসি।

এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মঞ্জুরুল হক ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান ও লেক সার্কাস এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় এনভয় টাওয়ার ও আকাঙ্ক্ষা সবুরন টাওয়ারের বেজমেন্টে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এনভয় টাওয়ারের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. আব্দুল মজিদকে এক লাখ টাকা এবং আকাঙ্ক্ষা সবুরন টাওয়ার তত্ত্বাবধায়ক মো. সিরাজুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।  

দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম আর সেলিম শাহনেওয়াজ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং একটি স্থাপনার সংশ্লিষ্ট মালিকের কাছ থেকে একটি মামলায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।  
 
তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাগ এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় মেট্রো প্রোপার্টিজ কর্তৃক নির্মাণাধীন ভবনসহ মোট তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। মেট্রো প্রোপার্টিজের প্রতিনিধিকে ৫০ হাজার এবং বাকি দুটি ভবনের প্রত্যেক প্রতিনিধিকে ২০ হাজার করে সর্বমোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামগঞ্জ ও চম্পাতলী এলাকায় অভিযান চালান এবং চারটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পান। আদালত এ সময় তিন মামলায় ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উল্লাহ ওয়ারী এলাকায় ২৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান এবং তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহরিয়ার হক ৭০ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডেমরা ও খিলগাঁও এলাকায় ৪৩টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান এবং একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  

সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাওসীফ রহমান ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডা এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান। আটটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় আট মামলায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শেখদি এলাকায় ৪২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান এবং দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।  

বৃহস্পতিবারের অভিযানে সর্বমোট ২৯৯টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ২৩টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ২৩ মামলায় সর্বমোট তিন লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩ 
এইচএমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।