ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে গভর্নিং বডি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
প্রতিষ্ঠান প্রধানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করবে গভর্নিং বডি

ঢাকা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিকে সক্রিয় তদারকি করতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন, কোভিড-১৯ এর ফলে সৃষ্ট শিখন ঘাটতি পূরণ ও শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

অধিদপ্তর মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এক নির্দেশনায় জানায়, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের লক্ষ্য ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে নতুন টিচিং-লার্নিং অ্যাপ্রোচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজন যেমন- প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বড়ি, শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সবার কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বডি।  

দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শিক্ষকদের ও তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিরও কোনোরূপ নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া কোডিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়াসহ গভীর নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি এ কার্যক্রমসহ শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ন করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের ৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সেগুলো হলো- প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি সক্রিয় তদারকি করবে। শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান কার্যকর ভূমিকা নেবেন।

এছাড়াও কোভিড-১৯ অভিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর রাখা; সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে কোনোরূপ মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা; শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, উল্লেখিত নির্দেশনাসমূহ প্রতিপালনে কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।