ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ কংগ্রেসম্যানের চিঠিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। তবে যেখানে সম্ভব হচ্ছে, চিঠি দেওয়া কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সোমবার (৩১ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৪ কংগ্রেসম্যানদের চিঠির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এসব কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, নির্বাচনের আগে এ রকম চিঠি বহুত আসতে পারে। এটি আমরা আপনাদের আগেও বলেছি। এগুলো নিয়ে যদি আদৌ কোনো অ্যাকশন নেওয়ার প্রয়োজন থাকে...। একটা বিষয় আমরা আগে যেটা করতাম না, এখন আমাদের দূতাবাস সে কংগ্রেসম্যান বা সিনেটর বা রাজনীতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
তিনি বলেন, এই যোগাযোগের ফলে বের হয়ে এসেছে, একজন বলেছেন, আমি তো সই করিনি, কিন্তু আমাকে সই করতে বলেছিল। আরেকজন বলেছেন, আমি তো আংশিক দেখে আমার স্টাফদের দেখতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক নেতা বা কংগ্রেসম্যানরা লিখছেন। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে আমাদের খুবই গঠনমূলক বৈঠক হয়েছে বেশ কয়েকটি। সাম্প্রতিক সময়ে যে সফরগুলো হয়েছে, তাদের যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল, যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, যেসব অগ্রগতি হয়েছে এবং সেগুলোতে তারা প্রশংসা করেছে। আমরা খুব দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলাম যে, এ ধরনের যোগাযোগ থাকলে সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যে, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ রকম বিষয়বস্তুর মধ্যে যখন আছি, তখন চিঠি দিল কে? কারও নাম নিতে চাই না। একজন রাজনীতিবিদের প্রমোশন হচ্ছে না। ব্যয়বহুল ডিনার খাইয়ে এ চিঠি বানিয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডকে চিঠি দেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ কংগ্রেসম্যান। এ নিয়েই কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
টিআর/আরএইচ