ঢাকা: পাইলট প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে দোলাচলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (২ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত দেং সিজুনের ঢাকা সফরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (চীনের বিশেষ দূত) চেষ্টা করছেন যেন রোহিঙ্গারা তাদের স্বদেশে ফেরত যায়। চীন এ ব্যাপারে যথেষ্ট সাহায্য করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে অনেক লোক চায় না রোহিঙ্গারা ফেরত যাক। বিশেষ করে অনেক বিদেশি সরকার আমাদের পরামর্শ দেন, রোহিঙ্গারা যেন এই মুহূর্তে না যায়।
ড. মোমেন বলেন, তাদের (বিদেশি সরকার) বক্তব্য হলো—ওখানে গেলে ওরা মরে যাবে। ওদের হত্যা করবে। কারণ ওখানে মিলিটারি সরকার। তারা মনে করেন, ওখানে যদি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হয় তাহলে ওখানে ওদের পাঠানো ঠিক হবে না। তারা এই ওকালতি করেন। কিন্তু আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে, রোহিঙ্গারা তাদের দেশে যাবে। রোহিঙ্গারাও তাদের দেশে যেতে চায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মিয়ানমার ওদের নিতে রাজি আছে। মিয়ানমার বলছে, তারা গেলে সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করবে। কিন্তু আমাদের বাকি মুরব্বিরা বলছেন—না; আপনারা কেমন করে মিলিটারি সরকারকে বিশ্বাস করেন। আমরা এ নিয়ে দোলাচলে আছি।
রোহিঙ্গা পাঠাতে সংকট কোথায়—এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আরও যারা সম্পৃক্ত আছেন, বহু আন্তর্জাতিক এনজিও আছে। তারা ওখানে কাজকর্ম করেন। ইউএনএইচসিআর আছে। ওখানে যারা কাজ করেন তারা চান না ওরা সেখানে যাক। এ মুহূর্তে ওখানে সামরিক সরকার তাই। অনেকে ভালো ভালো কথা বলেন, কিন্তু কজের নামে জিরো।
তাহলে কোনো অগ্রগতি নেই—এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যথেষ্ঠ স্লো ডাউন হয়েছে কয়েক দিনে। আমি সব সময় আশাবাদী। রোহিঙ্গারা নিজের দেশে গিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।
চীনের বিশেষ দূতের ঢাকা সফরে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো বার্তা ছিল কিনা—জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, না। তিনি শুধু রোহিঙ্গা নিয়ে আলাপ করতে এসেছেন। অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আসেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ