ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশের তথ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ প্রকাশিত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৩
পুলিশের তথ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ প্রকাশিত হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন,  আমাদের বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গবন্ধু করার জন্যে যিনি সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন তিনি বঙ্গমাতা। তিনি যখনই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে  কারাগারে যেতেন একটা নোটবই, খাতা-কলম নিয়ে যেতেন।

এজন্যই আমরা পেয়েছি 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী', 'কারাগারের রোজনামচা'সহ বিভিন্ন বই। পুলিশের কাছে থাকা তথ্য গুলোও আমরা বই আকারে প্রকাশ করবো।  

সোমবার (০৭ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণু'র জীবন ও কর্মভিত্তিক চলচ্চিত্র 'বঙ্গবন্ধুর রেণু'-এর লোগো ও ওয়েবসাইট উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে লোগো ও ওয়েবসাইট উন্মোচন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ। হাসুমণি'র পাঠশালা নিবেদিত ও মারুফা আক্তার পপি'র পরিচালনায় নির্মিত হচ্ছে এ চলচ্চিত্র।

নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় বঙ্গমাতা আমাদের বললেন, তোমরা আন্দোলন আরও তীব্র করো। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে দ্রুত মুক্তি দিবে। তার দূরদর্শী চিন্তা এমনই ছিল। আমাদের ছাত্রনেতারা মাঝেমধ্যেই বঙ্গমাতার কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে যেতাম। ৭ মার্চের ভাষণ বঙ্গবন্ধু যখন শুরু করলেন অনেকে স্লিপ দিয়েছিলো তিনি সেগুলো চশমার নীচে রাখলেন। তারপর তিনি ভাষণ শুরু করলেন নিজের মতো করে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের নয়, এখন সারাবিশ্বের সম্পদ।  


আয়োজনের উদ্বোধক বীর মুক্তিযোদ্ধা শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, রাজা রামমোহন রায়ের সময় বাংলায় রেনেসাঁ হয়। কিন্তু এদিকে (পূর্ব বাংলা) রেনেসাঁ এসেছে একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। বেগম রোকেয়ার পিছনে যেমন ছিলেন তার স্বামী তেমন বঙ্গবন্ধুর পিছনে সর্বদা সহযোগিতা নিয়ে ছিলেন বঙ্গমাতা। ৭ মার্চের বক্তব্যের আগে যখন বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতাকে জিজ্ঞেস করেন এতো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে কী বলবো, তখন বঙ্গমাতা বললেন তুমি এতোদিন যা বিশ্বাস করে এসেছো সেটায় বলো।  

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও হাসুমণি'র পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি'র সভাপতিত্বে অনষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মোর্শেদুল ইসলাম  ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম এন্ড টেলিভিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব রেণু'র জীবন ও কর্মভিত্তিক চলচ্চিত্র 'বঙ্গবন্ধুর রেণু'-এর লোগো তৈরি করেছেন সনজীব দাস অপু ও ওয়েবসাইট নির্মাণ করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস পাভেল।  

বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১৯৫২ আগস্ট ০৭,২০২৩
এইচএমএস/ এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।