ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এছাড়া বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে সরকার তৎপর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক “শুধু আইন দিয়ে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়" শীর্ষক ছায়া সংসদের উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি জাতীয় ভোক্ত-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে আয়োজন করে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

সেখানে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে প্রচলিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনটি সংশোধন ও সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া গেলে ভালো হয়। সিন্ডিকেট অবৈধ মজুদদার, কালোবাজারিদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিদপ্তর তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট সবসময় সুযোগ খোঁজে বাজারে কারসাজি করে মূল্যবৃদ্ধির জন্য। আমরাও সদা সক্রিয় এসব অবৈধ কারবারিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে। ডিম, কলা, মুরগী ও পেঁয়াজের মতো পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারসাজির বিরুদ্ধে অমরা কঠোর অবস্থানে আছি। ভোজ্যতেল, চিনি ও গমের মতো অনেক পণ্য ৯০ ভাগই আমদানি নির্ভর। যা মাত্র কয়েকটি কোম্পানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ পণ্যগুলো নিয়ে যাতে কোনো বাজার কারসাজি না ঘটে তার জন্য আমরা সর্বদা সজাগ থাকি। তবে কোনো কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়াও সমাধান না। তাতে সাপ্লাই ও ডিমান্ডে ব্যাহত হয়ে ভোক্তাদের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। তবে ব্যবসায়ীদের সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের জাগরণাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে বিশেষ সহায়ক।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ব্রয়লার মুরগিসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ৫-৬টি কর্পোরেট কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মূল্যবৃদ্ধির কারসাজির সঙ্গে যে সব বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট কোম্পানিগুলো জড়িত, সেগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

ছায়া সংসদে প্রতিযোগিতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরাজিত করে ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। এ প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা ও সাংবাদিক রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
এমএমআই/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।