ঢাকা, বুধবার, ০ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবেশই শিশুর প্রথম স্কুল

নাঈমুল রাজ্জাক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
পরিবেশই শিশুর প্রথম স্কুল ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শিশুদের মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণ সমাজ ও সুস্থ পরিবেশের মেলবন্ধন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাদের ভাবের আদান-প্রদানের মাধ্যমেও সূচনা হয়ে থাকে। শিশুর পরিবেশ তার জীবনের প্রথম স্কুল।

এটি তার অনুভব ও জ্ঞানের প্রসারণের জন্য মূলগামী হয়ে থাকে।

একটি সুস্থ ও শিক্ষামূলক পরিবেশ শিশুর উদ্দীপনা, শিক্ষা ও সাহিত্যিক আদর্শগুলো সমর্থন করে থাকে।  

সমাজ ও সুস্থ পরিবেশ শিশুদের মানসিক বিকাশ ও সামাজিকরণে কতটা গুরুত্বপূর্ণ:

সামাজিক সম্পর্ক ও সমন্বয়: সমাজ শিশুদের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক ও সমন্বয় স্থাপন করতে সাহায্য করে। ভালো সমাজিক সম্পর্ক ও সমন্বয় শিশুর সামাজিক ও মানসিক উন্নয়নে অবশ্যই সহায়তা করে। এটি শিশুদের সামাজিক কমিউনিটির সদস্যত্ব স্বীকার করার জন্য সাহায্য করে এবং শিশুদের সমাজিক দক্ষতা, সহিষ্ণুতা এবং সামাজিক নীতিমালা বজায় রাখতে পারে।

সুস্থ পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা: একটি সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশ শিশুর মানসিক ও শারীরিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সুস্থ পরিবেশ প্রয়োজন। এটি শিশুদের মনোযোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রাথমিক শর্ত সৃষ্টি করে। শিশুরা সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশে আরাম ও শান্তি অনুভব করে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করে।

পরিবেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি: শিশুরা পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি শিখতে পারে। পরিবেশের শিক্ষা শিশুদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা এবং সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করে। এছাড়াও সংস্কৃতি শিশুর সাহিত্যিক ও মানসিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলে এবং তাদের আনন্দ ও সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ভালো উদার সমাজ ও পরিবেশ: একটি উদার ও পরিবেশ শিশুর মানসিক বিকাশে অনুশীলন করতে পারে। সমাজে পরিচালিত বিভিন্ন উপায়ে শিশুদের মনোযোগ ও সমন্বয় করা হয় যাতে তারা ভালো সামাজিক মানসিকতা বিকাশ করতে পারে। একটি উদার ও নেতৃত্ব স্থানমূলক সমাজ শিশুদের অভিযান্ত্রিক সুসজ্জিত করে তাদের সামাজিক কমিউনিটির অংশ হিসেবেও গ্রহণ করতে পারে।  

এসব কারণগুলোর মধ্যে পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। এটি শিশুদের নির্মিত ও স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব উন্নয়নে সাহায্য করে এবং তাদের সমাজে সামাজিক ও নৈতিক নীতিমালা বজায় রাখার দাবি রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।