ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বীরগঞ্জে ইউপি সদস্যকে লাথি মারলেন চেয়ারম্যান!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
বীরগঞ্জে ইউপি সদস্যকে লাথি মারলেন চেয়ারম্যান! বামে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ডানে ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য

দিনাজপুর: মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আবু হানিফ নামে এক ইউপি সদস্যকে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এ ঘটনায় অভিযুক্ত দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর নিজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য হানিফ।

এর আগে বুধবার (১৬ আগস্ট) উপজেলার ৬ নম্বর নিজপাড়া ইউনিয়নে আলোচনা সভা চলাকালীন সময়ে লাথি মারার এ ঘটনা ঘটে।

আবু হানিফ একই ইউনিয়নের চকবানারশি এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং জেলা গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব।

অপরদিকে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান নিজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক বলে জানা গেছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান একক সিদ্ধান্তে গর্ভবতী নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতার চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেন। ইউপি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে তালিকা প্রস্তুত করার কারণ জিজ্ঞেস করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু হানিফকে লাথি মারেন ওই চেয়ারম্যান।

ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য আবু হানিফ বলেন, ইতঃপূর্বেও চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করেছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। অমি সেগুলোর প্রতিবাদও করেছি। ঘটনার দিন মাতৃত্বকালীন ভাতার অনিয়ম নিয়ে কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাকে লাথি মারেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ইউপি সদস্যকে লাথি মারার বিষয়ে জানতে চাইলে নিজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, মাতৃত্বকালীন ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এ বিষয়ে আমার কাছে অনেকেই মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সেদিন আলোচনার সময় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি তার গায়ে লাথি মেরেছি ভিডিওতে এমন কোথাও কিছু দেখা যায়নি।

বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসক আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি নিজেই বিষয়টি তদন্ত করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।