ঢাকা: রাজধানীর হাতিরঝিলের ওপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসে ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে খুকুমণি (৫৫) নামে এক নারী। টাওয়ারের উচ্চতা ছিল আনুমানিক ১৫০ ফিট।
জরুরি সেবা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুতের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। চূড়া থেকে তাকে নিচে নামিয়ে আনার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে বারবার অনুরোধ জানানো হলে চার ঘণ্টা পর নিচে নেমে আসেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন বলেন, আনুমানিক দুপুর ২টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি হাতিরঝিলে পানির মধ্যখানে উচ্চ ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় এক নারী বসে আছেন। এ অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বিদ্যুতের লোকজনদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সবাই ঘটনাস্থলে চলে আসে। বিদ্যুতের লোকজনের কাছ থেকে জানা যায় টাওয়ারের লাইনটি ছিল আনুমানিক এক লক্ষ ৩২ হাজার ভোল্টেজের। পুরো ঢাকা সিটির সঙ্গে সংযুক্ত।
লাইনটি বন্ধ করে ওই নারীকে নামিয়ে আনা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। একপর্যায়ে দফায় দফায় হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে তাকে অনুরোধ করা হয় নিচে নেমে আসার। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায় নিচে নামার অনুরোধ ব্যর্থ হতে থাকে। তবুও আমরা হ্যান্ড মাইক দিয়ে নিচে নামার জন্য বারবার অনুরোধ করতে থাকি। একপর্যায় আনুমানিক ৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যার কিছু আগে তিনি নিজেই নিচে নেমে আসেন। তখন খুকুমণির কাছে জিজ্ঞেস করা হয় তুমি ওপরে উঠেছো কেন? এর উত্তরে তিনি বলেন- আমার ইচ্ছে হয়েছে উঠেছি।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এই নারীর বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়। তিনি কোরবানি ঈদের আগে ঢাকা শহরে আসেন। বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরের মতো চলাফেরা করতেন। মানসিক ভারসাম্যহীন। শুক্রবার দুপুরে হাতিরঝিলে গোসল করতে নামেন তিনি। একপর্যায়ের সাঁতার কেটে পানির মধ্যখানে থাকা ওই টাওয়ারে দিকে চলে যান। পরে ওই টাওয়ার বেয়ে চূড়ায় ওঠে বসে থাকেন।
নারীটি আপাতত পুলিশ হেফাজতেই আছেন। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা এলেই তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে খুকুমণিকে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৩
এজেডএস/এসএম