কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) তিন মাস ১৪ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। গণনা করে এবার রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া যায়।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দিনগত রাত সোয়া ৯টার পর গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। দানবাক্সগুলো (সিন্দুক) খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ২৩টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী গণনার কাজ।
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়। এবার তিন মাস ১৪ দিন পর মসজিদের দানবাক্স (সিন্দুক) খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে এবার রেকর্ড পরিমাণ ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া গেছে।
টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখসহ আরও অনেকে। পাশাপাশি মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের (২০২৩) ৬ মে মসজিদের দান বাক্স (সিন্দুক) খুলে গণনা করে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৩
আরএ