ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধান চুরির মামলায় জামিন পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
ধান চুরির মামলায় জামিন পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ‍উপজেলায় ধান চুরির মামলায় গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসিমকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তার ভাই নুরুল আমিনও জামিন পেয়েছেন।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম সৈয়দা আমিনা ফারহিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
 
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামিনপ্রাপ্ত জসিম রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মামলার বাদী জামানারা আক্তার লীনা চেয়ারম্যান জসিমের আপন ভাতিজি।  

লীনা কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের তোরাবগঞ্জ গ্রামের ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনের স্ত্রী।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সামছুদ্দিন হিমেল ভূঁইয়া জানান, ধান চুরির মামলায় গত মে মাসে চেয়ারম্যান জসিমসহ নয় আসামি জামিন পান। এরপর তারা আদালতে একবার হাজিরা দিয়েছেন। জামিনের পর রোববার (২০ আগস্ট) দ্বিতীয় হাজিরার সময় ছিল। ওইদিন তারা আদালতে হাজিরা দিতে যান। যেহেতু তাদের জামিনের মেয়াদ তখনও শেষ হয়নি, তাই তারা পুনরায় জামিনের আবেদনও করেননি। মামলাটি ঊর্ধ্বতন আদালতে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক স্ব-প্রণোদিত হয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতকে বোঝাতে সক্ষম হওয়ায় ২১ আগস্ট বিচারক দুজনকে জামিন দিয়েছেন।  

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যান জসিম, তার বড় ভাই নুরুল আমিন, জসিমের ছেলে ইফতেখার হোসেন শাওনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তোরাবগঞ্জ গ্রামে বাদীর চার একর ৪৫ শতাংশ জমির ২৫০ মণ আমন ধান কেটে নিয়ে যান। যার বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ধান লুটে বাধা দেওয়ায় বাদীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর জামেনারা আক্তার বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কমলনগর আদালতে ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। তখন আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। চলতি বছর ১৫ মার্চ থানা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।