ঢাকা, বুধবার, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি, ভোগান্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি, ভোগান্তি

সিলেট: রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।

সোমবার (২১ আগস্ট) রাত থেকে হাসপাতালটির শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে তারা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসাধীন রোগীরা। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে ভর্তি হওয়া রোগীদের স্বজনরা।

তবে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি থেকে ফিরিয়ে কাজে যোগ দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বলেন, রোগীর স্বজনদের হামলা ও ভাঙচুরের কারণে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি দিয়েছে। শিক্ষানবিশ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মো. রাকিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত মজুমদার এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা কর্মবিরতি পালন করছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (২০ আগস্ট) কুচাই শ্রীরামপুর নোয়াগাঁওয়ে বাতির আলীর ছেলে শাহাব উদ্দিনকে (৪০) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হাসপাতালের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১৯ নম্বর শয্যায় ভর্তি করা হয়।

সোমবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে রোগীর স্বজনরা ওই ওয়ার্ডের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও নার্সদের ডিউটি রুমে ভাঙচুর করেন। রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে স্বজনরা ওয়ার্ডের গ্লাস, চেয়ার, টেবিল, দরজা ও ইজিসি মেশিনসহ বেশকিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে হাসপাতাল ক্যাম্প পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং চারজনকে আটক করে।

রোগীর স্বজনদের আক্রমণের মুখে চিকিৎসক ও নার্সরা ওই ওয়ার্ড ত্যাগ করে চলে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।  

এদিকে, কর্মবিরতি চললেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিড লেভেল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহার বিষয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই সমাধান হবে।

এছাড়া রোগীর মৃত্যু ইস্যুতে ভাঙচুরকারী চারজনকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতালের পক্ষে ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন মহানগরের মোগলাবাজার থানাধীন কুঁচাই নোয়াগাঁওয়ের শাহাব উদ্দিনে ছেলে জুবেল আহমদ (২৭), তার সহোদর জুয়েল আহমদ (২৩) ও সাবেল আহমদ (২১) এবং তাদের চাচা একই গ্রামের বাতির আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৫৪)।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার চার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এনইউ/এসআইএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।