ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেলকুচিতে ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
বেলকুচিতে ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে ভুল অস্ত্রোপচারে মরিয়ম খাতুন নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।  

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার শেরনগর এলাকায় বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

 

মৃত মরিয়ম খাতুন উপজেলার চর জোকনালা গ্রামের সুমনের স্ত্রী।  

মরিয়র খাতুনের স্বামী সুমন জানান, মঙ্গলবার সকালে আমার স্ত্রীকে আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বাচ্চার অবস্থা ভালো না আজকের মধ্যেই সিজার করতে বলে জানান। পরে দুপুর ২টার দিকে ডা. কমল কান্তি ও বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কেএম মোফাখখারুল ইসলাম অপারেশন রুমে গিয়ে সিজার করেন। তার কিছুক্ষণ পর অপারেশন রুমে গিয়ে দেখি মরিয়ম অজ্ঞান হয়ে আছে।  

জিজ্ঞেস করলে নার্সরা জানান রোগীর এখনো জ্ঞান ফেরেনি। কিছুক্ষণ সময় লাগবে এই বলেই ডাক্তার ও নার্স পালিয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি আমার স্ত্রী মারা গেছে। ডাক্তারদের ভুল সিজারের কারণেই আমার স্ত্রী মারা গেল।

বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালের মালিক রহমান আলী জানান, সিজারটা বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.কে.এম মোফাখখারুল ইসলাম ও ডা. কমলকান্তি করেছেন। রোগী কীভাবে মারা গেল তারাই ভালো বলতে পারবেন।

এ বিষয়ে ডা. কমল কান্তির সঙ্গে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

তবে এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.কে.এম মোফাখখারুল ইসলাম সিজারের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা যখন হাসপাতাল থেকে চলে আসি তখনো রোগী সুস্থ ছিল। হয়ত স্টোক করে মারা যেতে পারে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. রাম পদ রায় জানান, বিসমিল্লাহ আধুনিক হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেব।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।