রাজশাহী: রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর এলাকায় স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করেছেন এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির নাম অলিউল (৪৮)।
পুলিশ জানায়, ১০ বছর আগে অলিউল ও নিপার বিয়ে হয়। দেড় বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল। এরপর দেড় মাস আগে তাদের আবারও বিয়ে হয়। নিপা খাতুন পাঁচন্দর গ্রামের আবদুর রহিমের কন্যা। আর স্বামীর সাথে তালাকের পর তিনি ছেলে সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন।
নিহত নিপার বড়ভাই ভুলু জানান, দেড় বছর আগে তার বোনকে হাসুয়া দিয়ে কোমরে কোপ দিয়েছিলেন অলিউল। তখন অলিউলের নামে তারা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন অলিউল। পরে পারিবারিকভাবে আপোসের মাধ্যমে নিপা অলিউলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করেন। নিপাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় অলিউলের কাছ থেকে। ৭-৮ মাস আগে আপোসের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হন অরিউল। দেড় মাস আগে আবারও নিপা-অলিউলের বিয়ে হয়। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) শিশু নূরের সুন্নতে খাৎনাও করা হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে অলিউল নেশাগ্রস্ত হয়ে ওই বাড়িতে আসেন। এ সময় স্ত্রী নিপার সঙ্গে তার সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে অলিউল তার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে শিশু সন্তান নূর। তাকেও ছুরিকাঘাত করেন অলিউল। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের দুইজনের মৃত্যু হয়।
রাজশাহীর সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা জানান, ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেন অলিউল। পরে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আটক করা হয়। ধরা পড়ার আগে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনি দিয়েছেন। তাই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে অলিউলের চিকিৎসা চলছে।
এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৩
এসএস/এএটি