ঢাকা: পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, পাইলট প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে আগামী মাসে একটি প্রতিনিধিদল রাখাইন পরিদর্শনে যাবে।
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরানো নিয়ে মনোবল বাড়াতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পর্যায়ে এবং আরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের একটি প্রতিনিধিদলের মিয়ানমার যাওয়ার কথা আছে। মিয়ানমারে মহাপরিচালক পর্যায়ে একটা বৈঠক হওয়ার কথা আছে। তারা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে আসতে পারবে। সম্ভবত তাদের রাখাইন প্রদেশ দেখাবে, সেখানে তারা কী কী ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে একটি প্রতিনিধিদল এখানে আসবে। তারা ব্যক্তি পর্যায়ে রোহিঙ্গা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবে। তারা যে সমস্ত কথা আমাদের কাছে শেয়ার করেছে (মিয়ানমার), তা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে শেয়ার করলে তাদের কনফিডেন্সটা বাড়বে।
চলতি বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে মুভমেন্ট করা কঠিন আছে। আমরা আশা করছি, শুষ্ক মৌসুমে। সে কারণে বর্ষা শেষ হলে সেপ্টেম্বরে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্রস্তুতি নিলে হাতে তিনটি মাস থাকবে।
ডিসেম্বরের আগে প্রত্যাবাসন হতে পারে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা তো আশা রাখি।
পাইলট প্রকল্পের আওতায় কত রোহিঙ্গাকে পাঠানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তিন হাজারের বেশির তালিকা দিয়েছি। এরমধ্যে ওরা যতজনকে নেয়। একটা পরিবার থেকে যেন ভেঙে না যায় এবং একই এলাকা থেকে হয়, সেটাও দেখতে হবে। আমাদের প্রাথমিক আলোচনা ছিল হাজারখানেক।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা বা দেশ তাদের কিছু শর্ত আছে। আমরা স্বেচ্ছায় তাদের নেব কি না বা ওখানে ফেরত পাঠাবো কি না বা টেকসই হবে কি না বা রাখাইন প্রদেশে যথেষ্ট নিরাপত্তা আছে কি না, এ সব ছোট ছোট প্রশ্ন আছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমরা যে তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছি, তারা যদি ক্লিয়ার করে দেয়, তাদের মধ্যে যে রোহিঙ্গারা যেতে চায় আমরা তাদের পাঠানোর চেষ্টা করব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২৩
টিআর/আরএইচ