বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ। বায়ু দূষণের কারণে বছরে দেশে মানুষের গড় আয়ু ছয় বছর আট মাস কমে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের গড় আয়ু কী পরিমাণে কমছে তা তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখ যায় বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে গড় আয়ু দুই বছর চার মাস করে কমছে।
প্রতিবেদন মতে, ১৯৯৮ সালের তুলনায় বাংলাদেশে বায়ুদূষণ ৬৩ শতাংশ বেড়েছে। ফলে গড় আয়ু দুই বছর আট মাস কমেছে। তবে এই হার ২০২০-২১ সালের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানাযায়, গত এক যুগে বিশ্বে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীন সবচেয়ে বেশি সফলতা দেখিয়েছে। দূষণ রোধে তাদের নেওয়া পদক্ষেপ গুলো দেশটির বায়ুর মান ৪২ শতাংশে বেশি উন্নতি হয়েছে।
এই প্রতিবেদন উল্লেখ করা তথ্য গুলো বলছে দেশের সবচেয়ে নির্মল বায়ুর শহর সিলেটেও বায়ু দূষণ আন্তর্জাতিক মানের ১০ গুণ। যদিও বাংলাদেশের মধ্যে একেক এলাকার বায়ুর অবস্থা একেক রকম। এর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হচ্ছে গাজীপুর। যেখানে মানুষদের বায়ুদূষণের কারণে আয়ু কমছে আট বছর তিন মাস।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৪৮ লাখ মানুষ সারা বছর দূষিত বায়ুর মধ্যে বসবাস করছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত মান, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা ৫ মাইক্রোগ্রামের চেয়ে বেশি।
দেশে গ্রামের বায়ুর মান বড় শহরগুলোর তুলনায় ভাল। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোতে ৭ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ বসবাস করে। এসব শহরের অধিবাসীদের গড় আয়ু সাত বছর ছয় মাস কমে যাচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে বায়ুর মান উন্নত করলে গড় আয়ু বাড়ানো যেতে পারে। ঢাকায় বায়ুর মান উন্নত করে গড় আয়ু আট বছর এক মাস বাড়ানো সম্ভব আর চট্টগ্রামে ৬ বছর ৯ মাস সঙ্গে পুরো দেশের গড় আয়ু বাড়তে পারে পাঁচ বছর আট মাস।
প্রতিবেদনটি বলছে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গড় আয়ু কমছে হৃদ্রোগ ও ব্লাডপ্রেসার সমস্যার কারণে। এতে বাংলাদেশের একেক অধিবাসীর গড় আয়ু ছয় বছর আট মাস কমে যাচ্ছে। এর পরেই রয়েছে বায়ুদূষণ। ধূমপানের কারণে কমছে দুই বছর এক মাস, শিশু ও মাতৃত্বকালীন অপুষ্টিজনিত সমস্যার কারণে কমছে এক বছর চার মাস আয়ু।
বাংলাদেশ সময়:১৫১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এমএম