যশোর: বাজারে ৭৫০ টাকা মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি হলেও এক 'ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট' ভেঙে ৬৫০ টাকায় বিক্রি করার ঘোষণা দিয়ে প্রচার মাইক বের করলে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজারে এ ঘটনা ঘটে এই সময় তার মাইকটিও ভেঙে দেয়া হয় ।
ভুক্তভোগী মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম (৪০) শহরতলীর ধর্মতলা মাংস বাজারে মাংসের দোকান রয়েছে।
মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গরুর মাংসের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাহিরে চলে যাওয়ায় আমি কেজি প্রতি ১০০ টাকা কম মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। গত ২৫ আগস্ট থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্যানে মাইক দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি শুরু করি। আমি কম দামে মাংস বিক্রি করায় সিন্ডিকেট মাংস ব্যবসায়ীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। যার ফলে মঙ্গলবার সকালে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দুইজন সদস্য আমার প্রচার মাইকের ওপর হামলা করে।
মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছোটভাই রুবেল হোসেন (২৮) বলেন, মঙ্গলবার আমি প্রচার মাইকের ভ্যানের সাথে প্রচারণায় বের হই। তবে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস্ট্যান্ড কাঁচাবাজার অতিক্রম করার সময় ওই বাজারের মাংস ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন, কাইয়ুম শেখ ও তাদের দোকানের কর্মচারী রেজাউল ও রবিউল আমার মাইকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বাড়ি দিয়ে মাইক ভেঙে দেয়। এ সময় তারা আমার ভ্যান ভাংচুর করে এবং আমাকেও মারধর করে।
রুবেল হোসেন আরও বলেন, আমরা সরাসরি হাট থেকে গরু কিনে মাংস বিক্রি করি। যার কারণে আমরা মানুষের সাধ্যের মধ্যে মাংস বিক্রি করতে পারি। প্রতিদিন আমাদের দোকান থেকে ৫ থেকে ৬ মণ মাংস বিক্রি হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রিকশাচালক, ইজিবাইক চালকসহ নানা পেশার মানুষেরা আমাদের থেকে মাংস কিনে থাকে।
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীর প্রচার মাইকের ওপর হামলার ঘটনায় তিন জনকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। বাদী পক্ষ মামলা দিতে চাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ আগস্ট ২৯,২০২৩
এমএম