ঢাকা: ‘বোনের সন্তান হওয়ার সংবাদে আমরা খুশিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ভাগ্নেকে দেখার জন্য ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে চাইলে গেটে থাকা আনসার সদস্যরা বাধা দেন।
‘আমার কথা হলো, ওয়ার্ডে প্রবেশের ক্ষেত্রে এত কড়াকড়ি, ভালো কথা। কিন্তু এত কড়াকড়ির মাঝেও আমার ভাগ্নে চুরি হয়ে গেল কীভাবে? এটা আমি জানতে চাই কর্তৃপক্ষের কাছে। তাছাড়া যে করে হোক আমার ভাগ্নেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই বের করে দেবে ও খুঁজে দেবে। ’
আরও পড়ুন: বের হওয়ার রাস্তা দেখে মনে হচ্ছে বড় চক্র: ঢামেক পরিচালক
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে হাসপাতালে পরিচালকের কক্ষের সামনে চুরি যাওয়া তিন দিন বয়সের নবজাতক আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এমন আক্ষেপের কথা শোনান মামা ইব্রাহিম সরকার।
তিনি বলেন, ‘অন্য রোগীদের মতো আমার বোনকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করে আমার বোন। সুস্থ হলে তারা সন্তানকে নিয়ে বাসায় ফিরে যাবে এটিই স্বাভাবিক নিয়ম। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় রোগীর নিরাপত্তার দায়িত্ব হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের। তাহলে এখানে কী হলো, ভূমিষ্ঠ সন্তান চুরি হয়ে গেল! এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ’
আরও পড়ুন: ঢাকা মেডিকেল থেকে নবজাতক চুরি!
ইব্রাহিম সরকার বলেন, ‘সমগ্র হাসপাতাল জুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনীর পাশাপাশি শতশত সিসি ক্যামেরা। তাহলে কীভাবে আমার ভাগ্নেকে চুরি করে নিয়ে গেল?’
এর আগে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘সিসি ক্যামেরায় দেখা গেছে, এক নারী একটি বাচ্চা কোলে নিয়ে সেই ঢালসিঁড়ি পকেট গেট দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, এই বাচ্চা চুরি নিয়ে এখানে একটি বড় চক্র কাজ করেছে। কারণ, হাসপাতালের প্রতিটা গেটে আনসার সদস্যরা দায়িত্বে থাকেন। ’
আরও পড়ুন: শিশু কোলে হাসপাতাল ছাড়েন অজ্ঞাত নারী
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ম আছে, কোনো স্বজন নবজাতককে নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় গেটের দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের ছাড়পত্র দেখাতে হয়। সেই ছাড়পত্র যাচাই-বাছাই করে তারপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে দেওয়া হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
এজেডএস/আরএইচ