ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কৃষক-চা শ্রমিকদের কারো হাতের পুতুল করা যাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
কৃষক-চা শ্রমিকদের কারো হাতের পুতুল করা যাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী 

ঢাকা:  কৃষকরা যেন কারো হাতের পুতুল না হয়। কারো ইচ্ছার ওপর যেন তাদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে না হয়।

নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণে কৃষক-শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি।

শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত পঞ্চগড় সরকারি অডিটরিয়ামে বাংলাদেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এর আগে, বাণিজ্যমন্ত্রী উদ্বোধনী স্থলে স্থাপিত বিভিন্ন টি স্টল পরিদর্শন করেন।

টিপু মুনশি বলেন, শুধু নিলাম কেন্দ্র করলেই হবে না, যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিদারুণ কষ্ট করে চা উৎপাদন করছেন তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। যদি এটি করা না যায় তাহলে এই নিলাম কেন্দ্র হবে মূল্যহীন। তাই কৃষক ও চা শ্রমিকরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। চা উৎপাদনকারীরা কেন তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না এমন প্রশ্ন রেখে বাণিজ্যমন্ত্রী কৃষক-শ্রমিকরা সঠিক মূল্য না পেলে উত্তরবঙ্গসহ দেশের অন্যান্য চা বাগানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

কৃষক ও চা শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কৃষকের জন্য চায়ের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ এবং তার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি। কৃষক-শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

মন্ত্রী বলেন, দেশের চা উৎপাদনের ৬৫ শতাংশ উৎপাদন হয় সিলেট অঞ্চলে। সেখানে চা নিলাম কেন্দ্র  থেকে একশ বছরের বেশি সময় লেগেছে। কিন্তু এখানে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে নিলাম কেন্দ্র করা সম্ভব হলো। এটি সত্যিই গৌরব ও সৌভাগ্যের।

তিনি বলেন, চায়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চা পাতা উত্তোলনের জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চা শিল্পের উন্নয়নে এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

টিপু মুনশি বলেন, পঞ্চগড়ে চা নিলাম কেন্দ্র হলো। এখন দরকার থাকার জন্য কিছু ভালো মানের আবাসিক ব্যবস্থা। কারণ আমরা জানি চা নিলামের সময় সশরীরে যারা অংশ নেবেন তারা এখানে আসবেন। যদি তাদের ভালো মানের একটি পরিবেশ দেওয়া না যায় তাহলে নিলাম কেন্দ্রের সুফল পাওয়া যাবে না।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ে এয়ারপোর্ট চালু করা গেলে বায়াররা সকালে এসে নিলামে অংশ নিয়ে বিকেলে চলে যেতে পারবেন উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট চালু করার বিষয়ে সর্বোচ্চ মহলে কথা বলবেন বলবেন বলেও উল্লেখ করেন।

স্মল টি গার্ডেন ওনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ মো. আমিরুল হক খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রেল মন্ত্রী এ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোজাহারুল হক প্রধান এমপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনাররেল আশরাফুল ইসলাম।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ. হান্নান শেখ এবং পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা।  

এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতারাসহ চা চাষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২,২০২৩
জিসিজি/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ