ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভুয়া এতিম দেখিয়ে সাড়ে ১৭লাখ টাকা আত্মসাৎ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
ভুয়া এতিম দেখিয়ে সাড়ে ১৭লাখ টাকা আত্মসাৎ

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানায় সরকারি বরাদ্দ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে।  এতিম না থাকার পরেও বরাদ্দকৃত  ১৭ লাখ ৫০ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে এতিমখানার সম্পাদক ও হেতালবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মনিরুল ইসলাম উপজেলা সদর ইউনিয়নের হেতালবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
 
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
 
মামলার বিবরণে জানাগেছে, কাঁঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মনিরুল ইসলাম তার নিজের গ্রামে হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক নামে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। এই এতিমখানা নামে ২০১৩-২০১৪ সালে ক্যাপ্টেনশন গ্রান্ট বা মাথাপিছু অনুদান মঞ্জুর করা হয়। এতিমখানাটিতে ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত রেজিস্টারে ৭৯ জন এতিম ভর্তির তথ্য দেখনো হয়।

২০২১ সালে ২৪ নভেম্বর কাঁঠালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন ওই এতিমখানা পরিদর্শনে গেলে কোন এতিম খুঁজে পাননি। এতিম না থাকায় তিনি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট বন্ধ করে দেন। এরপর দুদক ওই এতিমখানায় চলিত বছরের ১০ জানুয়ারি অভিযান চালায়। এই অভিযানেও এতিমখানায় কোন এতিম পাওয়া যায় নি। অথচ এতিমখানা কর্তৃপক্ষ দুই অর্থ বছরে ৭৬ জন এতিম দেখিয়ে ১৭ লাখ ৫২ হাজার ২০০ টাকা সরকারি বরাদ্দ আনেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, বরাদ্দকৃত টাকা পুরোটাই এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম আত্মসাৎ করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য পাওয়ার পরে প্রতারণার মাধ্যমে এতিম না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া এতিম দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করায় হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত বুধবার ৩০ আগষ্ট মামলা করা হয়।  
 
মামলার বাদী দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন বলেন, অনুসন্ধানকালে দুদক হেতালবুনিয়া শাখায়েতিয়া শামসুল হক এতিমখানায় অর্থ আত্মসাতের তথ্য পায়। এতিম না থাকা সত্ত্বেও ভুয়া এতিমের নামে বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাৎ করেন সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময় : ২১৪২ ঘন্টা,সেপ্টেম্বর ০২,২০২৩

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।