ঢাকা, শনিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নয়ন-অগ্রগতি অর্জনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কাজে লাগানোর আহ্বান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
উন্নয়ন-অগ্রগতি অর্জনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কাজে লাগানোর আহ্বান

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ): মহাবতার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মদিন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনের উন্নয়ন কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।

শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জনে দেশের বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কাজে লাগানোর জন্য সব ধর্মের অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।

শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, শ্রীকৃষ্ণের একমাত্র লক্ষ্য ছিল সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন। আজীবন শান্তি, মানবপ্রেম ও ন্যায়ের পতাকা সমুন্নত রেখেছেন শ্রীকৃষ্ণ। সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার, অত্যাচার-নির্যাতন, জুলুম ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল তার মূল দর্শন।

জন্মাষ্টমী উৎসবকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা ও আনন্দোৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এর আবেদনকে একটি কল্যাণকামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তা হলেই একটি সুখি-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য। আবহমান কাল থেকে এ দেশের সব ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। এই ঐতিহ্য আমাদের অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী উৎসব উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে শহীদ উল্লা খন্দকার আরও বলেন, হিন্দুধর্ম মতে অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় সমাজ সংস্কারে শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশে সকল ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই আমাদের সুমহান ঐতিহ্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগানোর জন্য আমি দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এদেশে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।