ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আটক ৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
কক্সবাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আটক ৭

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরে নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও গুলিসহ সাত জলদস্যুকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

 

আটক সাতজন হলেন- মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া এলাকার মৃত বাহাদুর মিয়ার ছেলে মো. মজ্ঞুর আলম ওরফে মজ্ঞু (৩৮), চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের ছনুয়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মো. বাহার উদ্দিন বাহার ওরফে মাহবুব (৩২), কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের কালুয়ার ডেইল এলাকার মৃত সামছুল আলমের ছেলে মকছুদ আলম (৩২), পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়ার মৃত ছৈয়দুল করিমের ছেলে মো. তোফায়েল (২১), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পূর্ব মোহাজের পাড়ার বদিউল আলমের ছেলে মো. দিদার (৩০), চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার মৃত মো. ইছহাকের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫) এবং কক্সবাজার শহরের উত্তর কুতুবদিয়াপাড়ার ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ (২৭)।

র‌্যাব জানায়, আটক মো. মজ্ঞুর আলম ওরফে মজ্ঞু একজন চিহ্নিত জলদস্যু। তার নিজের নামে বাহিনী রয়েছে। তার নামে কক্সবাজার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় নয়টির বেশি মামলা রয়েছে। এছাড়া আটক অন্যদের বিরুদ্ধেও সাগরে জলদস্যুতাসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে জলদস্যুমুক্ত করতে র‌্যাবের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।  

রোববার ভোরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক সমুদ্র উপকূলে সশস্ত্র একদল লোক মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবরে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০ থেকে ১২ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া করে সাতজনকে আটক করতে সক্ষম হয় র‌্যাব সদস্যরা। পরে আটকদের হেফাজত ও ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, সাতটি গুলি, দুটি লম্বা কিরিচ, দুটি চাকু, দুটি টর্চ লাইট ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, আটকদের মধ্যে মজ্ঞুর আলম ওরফে মজ্ঞু একজন জলদস্যু সর্দার। আটকদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet