ঢাকা, শনিবার, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছাত্রলীগের ‘ভুয়া’ পরিচয়ে পুলিশে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এডিসি হারুন

নিশাত বিজয়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
ছাত্রলীগের ‘ভুয়া’ পরিচয়ে পুলিশে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এডিসি হারুন

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সদ্য সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।  

বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশের এএসপি পদে নিয়োগ পেয়েই নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের (টিপু-বাদশা কমিটি) সাবেক উপ-পরিবেশ সম্পাদক হিসেবে।

অথচ তিনি ছাত্রলীগের কমিটিতেই ছিলেন না। দিতেন ভুয়া পরিচয়।  

সহকর্মী পুলিশ কনস্টেবল থেকে রাজনৈতিক দল-সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে বারবার আলোচনায় আসেন এডিসি হারুন অর রশিদ। তবে কোনো সময় শাস্তির মুখে পড়েননি। এবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্মমভাবে পিটিয়ে শেষ পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত হলেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে কী বলছেন ভুক্তভোগী 

রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম, ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনীম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।

ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন নাঈমের অভিযোগ, এডিসি হারুন ঘটনার একপর্যায়ে শাহবাগ থানার ওসিকে (তদন্ত) ফোন করে বারডেম হাসপাতালে ডেকে নেন। পুলিশ গিয়ে আজিজুল, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমানকে মারধর করে। পরে হাসপাতাল থেকে পুলিশ জোর করে আজিজুলসহ তিন–চারজনকে গাড়িতে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমি ফোনে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনারকে (মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন) মারধরের ঘটনাটি জানিয়ে শাহবাগ থানায় যাই। গিয়ে দেখি ওসি তদন্তের কক্ষে সবাইকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে। এডিসি হারুন ও ওসিও মারধর করছেন। ওসির কক্ষের দরজা টেনে ভেতরে ঢুকতেই ১০ থেকে ১৫ জন আমার ওপর হামলা করেন। আমার মুখে কিলঘুষি মারেন। একপর্যায়ে আমাকে নিচে ফেলে পা দিয়ে লাথি মারেন। হারুন তার পিস্তলের বাট দিয়ে আমার মুখ থেঁতলে দেয়, এতে আমার দাঁত ভেঙে যায়।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্টের এপিএস আজিজুল হক মামুনের স্ত্রীর (৩৩তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডার) সঙ্গে এডিসি হারুনের ঘনিষ্ঠতা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। হারুন নিজেও ৩১তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরে হারুনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে প্রশাসন ক্যাডারের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে স্ত্রীর দূরত্ব বাড়তে থাকে। বিষয়টি অভ্যন্তরীণভাবে বেশ কয়েকবার মিটমাট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এডিসি হারুন সরে না আসায় কোনো সুরাহা হয়নি।  

শনিবার রাতে বারডেমে হারুনের সঙ্গে স্ত্রী আড্ডা দিচ্ছেন- এমন খবরে ছাত্রলীগের নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈম ও শরীফ আহমেদ মুনিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান প্রশাসন ক্যাডারের ওই কর্মকর্তা। এ সময় হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগের নেতারাও এতে জড়িয়ে যান। এ সময় হারুন শাহবাগ থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি দল সেখান থেকে আজিজুলসহ তিন–চারজনকে থানায় নিয়ে যায়।

যাকে-তাকে পেটাতেন এডিসি হারুন  

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও রয়েছে হাইকোর্ট, সেগুনবাগিচা ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকা।  

এর আগে এসব এলাকার অনেক কর্মসূচিতে আন্দোলনকারী এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের পিটিয়ে খবরের শিরোনাম হন এডিসি হারুন।  

গত ১৮ এপ্রিল রাতে নিউ মার্কেট এলাকায় দোকান মালিক, বিক্রেতা ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীদের দিকে রাবারের বুলেট ছুড়তে এক কনস্টেবলকে নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় ওই কনস্টেবল জানান বুলেট শেষ হয়ে গেছে। এ কথা শোনার পর পরই হারুন ওই কনস্টেবলকে থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন হারুন। সে ঘটনায়ও বিচারের মুখে পড়েননি তিনি।

গত বছরের ৭ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শাহবাগে একটি সমাবেশ করেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেদিনের শান্তিপূর্ণ ওই কর্মসূচিতে এডিসি হারুনের নেতৃত্বে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে আহত হন শিক্ষার্থী মো. সুলাইমান মিয়া, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাবি সংগঠক সামি আবদুল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস বাঁধন, ছাত্র ইউনিয়নের বৃহত্তর লালবাগ থানা আহ্বায়ক শান্তা ইসলামসহ ১২ জন।  

সামি আব্দুল্লাহ বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, তারা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করছিলেন। কিন্তু এডিসি হারুন কোনো উসকানি ছাড়াই তখন অতর্কিতভাবে লাঠিপেটা  করেন। ছাত্র ইউনিয়নের এক নারী কর্মীকে পেটাচ্ছিলেন এডিসি হারুন, তখন তাকে বাঁচাতে গেলে আমার মাথায় আঘাত লাগে। এ ঘটনায় মাথায় ১৪টি সেলাই লেগেছিল।  

গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে একদল চাকরিপ্রার্থী। পরে আন্দোলনকারীদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন। এ সময় ছবি তুলতে গেলে ফটো সাংবাদিকদের সঙ্গে হারুন দুর্ব্যবহার করেন।  

২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার চেয়ে শাহবাগে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও অন্যান্য বাম সংগঠন আয়োজিত মশাল মিছিলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। সেদিন বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে টিএসসি থেকে শাহবাগে যাচ্ছিলেন, এমন সময় এডিসি হারুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মারধর করে আহত করেন।  

একই বছরের ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় বিভাগ পরিবর্তন, ইউনিট বহাল, গুচ্ছ সিলেকশন বাতিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আগের জিপিএ বহাল রাখার দাবিতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটার নির্দেশ দেন এডিসি হারুন।  

সেদিনের মারধরের শিকার হন সাংবাদিক নাজমুল হাসান সাগর। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যারা সংবাদ সংগ্রহ করতে এসেছিলেন, তাদেরও মারধর করেন এডিসি হারুন। আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন, সাংবাদিক পরিচয় দিলে পরে ছেড়ে দেন।

ছাত্রলীগের ভুয়া পরিচয় দিতেন এডিসি হারুন

এডিসি হারুন ছাত্রলীগের যে কমিটির উপ-পরিবেশ সম্পাদক ছিলেন, সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন, হারুন অর রশিদ তার কমিটিতে কোনো পদেই ছিলেন না। তিনি বলেন, আমার যতটুকু মনে পড়ে, হারুন কোনো কমিটিতে ছিলেন না। তখনকার সেই কমিটিকে কেন্দ্র করে নানা ঝড়-ঝাপটা চলে। এ কারণে সে কমিটিই পরে বাতিল হয়ে যায়।  

মূলত, এডিসি হারুন ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের বন্ধু ও হলের রুমমেট। এএসপি হওয়ার পরই নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার পরিচয় দিতে শুরু করেন এডিসি হারুন। ছাত্রলীগের ভুয়া এই পরিচয় ব্যবহার করেই পুলিশের ভেতরে নিজেকে ক্ষমতাধর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন সদ্য বরখাস্ত এ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জানতে সাইফুর রহমান সোহাগকে কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।  

কী বলছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই ধরনের অনুপ্রবেশকারীরা অতি দলবাজ হয়ে নিজেদের স্বার্থে কাজ করে। আপনি আগে যে মতাদর্শেই থাকুন না কেন, পুলিশের চাকরিতে প্রবেশ করলে শপথ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে প্রশাসনে থেকে দলবাজির কোনো সুযোগ নেই।  

তিনি বলেন, অনেকেই দলবাজি করে ভালো পোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করেন। মোহাম্মদ নাসিম যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন একজন ডিসি (অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে অবসর নিয়েছেন) গিয়ে তার কাছে নিজের ছাত্রলীগ করার পরিচয় দিয়েছিলেন। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বলেছিলেন, আগে কী রাজনীতি করেছেন সেটা আপনার কাছে শুনতে চাই না। আমরা যারা রাজনীতি করি, সেটা আমরাই বুঝব। আপনি নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। দায়িত্বশীলরা যদি তাদের এই ধরনের বার্তা দেন, তাহলে প্রশাসনে দলবাজির প্রবণতা কমে যাবে। এই ধরনের কর্মকর্তা সরকার ও প্রশাসনের জন্য বিপজ্জনক।

এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন, সেহেতু তাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় জানানো হয়, তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে একইদিন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. আবু ইউসুফকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে দুই দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।  

একইসঙ্গে এডিসি হারুন ও তার পরিবারের সদস্যদের জামায়াত-বিএনপির রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারেও তদন্ত করতে বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩

এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।