ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চীনসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ২৩০৭৭ মিলিয়ন ডলার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
চীনসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ২৩০৭৭ মিলিয়ন ডলার

ঢাকা: চীনসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ভারসাম্যের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ক্রমশ বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বর্তমানে ভারত, চীন ও পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২৩ হাজার ৭৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি জানান, সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ ছাড়া অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি।  

মন্ত্রী জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্য সরকার বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাপূর্বক এসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ও সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে প্রণীত রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর আলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।  

টিপু মুনশি বলেন, চীন কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে ৮ হাজার ৯৩০টি পণ্যে অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে চীনে অধিক মূল্য সংযোজিত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়া, পণ্যের মান ও কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনে কঠোরতা, কোভিডের কারণে চীনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতা- ইত্যাদি কারণে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ছে না।  

তিনি বলেন, এ পরিস্থিতিতে মানসম্মত পণ্য নিয়ে উন্নত মোড়ক ব্যবহার করে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি, চীনে স্থায়ী প্রদর্শনীকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই, চীনের আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং বাড়ানোর মাধ্যমে রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, চীনে বাংলাদেশের কতিপয় কৃষি পণ্য রপ্তানির অনুমতির জন্য বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস চীনের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। চারটি কৃষি পণ্য যথা আম, আলু, কাঁঠাল ও পেয়ারার পেস্ট রিস্ক অ্যানালাইসিস রিপোর্ট চীনের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। চীনের দ্য জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস অব চীনার (জিএসিসি) চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের কতিপয় কৃষি পণ্যের রপ্তানিকারকদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। রপ্তানি বাজার বাড়াতে সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশে একক পণ্য মেলা আয়োজন এবং সেসব দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানের সোর্সিং মেলা ও রপ্তানি মেলায় অংশ নেওয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
এসকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।