ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা: জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তামাকের প্রভাব থেকে বাঁচতে ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব কনফারেন্স কক্ষে ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর ত্রৈমাসিক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

সভায় সংসদ সদস্যরা (এমপি) বলেন, ফোরাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা, তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে কাজ করতে হবে এবং ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাক চাষের বিষয়ে কঠোর হতে হবে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমেই আমরা বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার ব্যাপারে এগিয়ে যেতে পারবো।  

সভায় সভাপতির বক্তব্যে এমপি হাবিবে মিল্লাত বলেন, ফোরাম গঠনের পর থেকে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরনের নীতিনির্ধারণী ইস্যুতে ভূমিকা রেখে চলছে এবং জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা শিশুদের জন্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে পেরেছি। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা, তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ফোরামের এসব কার্যক্রম জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও আমরা মা ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়ন, কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, মানসিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কার্যক্রম পরিচালনা করে জাতিকে সুস্থ সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ফোরামে থাকা বর্তমান সদস্যরা আগামীতেও ফোরামের সম্মানিত সদস্য হিসেবে থাকবেন।   

গবেষণায় দেখা যায়, দেশের প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা।

সভায় সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. আব্দুস শহীদ, আ স ম ফিরোজ, নার্গিস রহমান, ফেরদৌসি ইসলাম, শিরিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরীন, আরমা দত্ত, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, শবনম জাহান, আফতাব উদ্দিন সরকার, রওশন আরা মান্নান, রত্না আহমেদ, বাসন্তী চাকমা, লুৎফুন নেসা খান, আহসানুল ইসলাম টিটু, শামীমা আক্তার খানম, আহমেদ ফিরোজ কবির, হোসনে আরা, কানিজ ফাতেমা আহমেদ, হাবিবা রহমান খান, অ্যাডভোকেট আ কা ম সরওয়ার জাহান এবং অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’র সমন্বয়ক ড. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নিজাম উদ্দীন আহমেদ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ’র কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।