ঢাকা: ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেছেন, মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজার (কৃষি মার্কেট) ঝুঁকিপূর্ণ ছিল ফায়ার সার্ভিস ও সিটি কর্পোরেশনের এমন অভিযোগ করছে, মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলে ভেঙে দেওয়া হলো না কেন?
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মার্কেটের দক্ষিণ অংশের সামনের মোড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এই প্রশ্ন করেন তিনি।
নাজমুল হাসান বলেন, মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এমন কোনো কাগজ আমরা পাইনি।
যিনি এই দোকানে ব্যবসা করছেন তিনিই যেন পরবর্তীতে দোকানটি বরাদ্দ পান। যার দোকান সেই যেন পায় এখানে বাইরের লোক এসে যেন দোকান না পায়। এই দুর্ঘটনায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই যেন ক্ষতিপূরণ পান এটিও নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, এ মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ আমরা এখনো তেমন কোনো কাগজ পাইনি আর আমাদেরও মনে হয়নি মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ।
এর আগে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস এন্ড ম্যানটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট আগুনের খবর পেয়ে ৯ মিনিটের মাথায় আমরা এখানে চলে আসি। রাত তিনটা ৫২ থেকে আমরা এখানে আগুন নির্বাপণের চেষ্টা করি। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছি। ১৭টি ইউনিটে ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার কাজ করেছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে কোনো ফায়ার সেফটি ছিল না। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মার্কেটের নিরাপত্তা রক্ষীদেরও খুঁজে পাননি।
ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী-নৌবাহিনীর সদস্যরাও সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩
এমএমআই/এসআইএস