নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার মধ্য নরসিংপুর এলাকা থেকে নূর ইসলাম নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতের মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ও গভীর ক্ষত রয়েছে। নিহত যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা শেষে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে মরদেহ বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় স্ত্রী আসমা এবং দুই শ্যালক শাহজালাল ও মোজাফফরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে ধারাল দা ও দড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।
মৃত নূর ইসলাম শরিয়তপুরের ডামুইডা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিল। তিনি মধ্য নরসিংপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে একটি জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৮ বছর আগে মধ্য নরসিংপুর এলাকার গনি মিয়ার মেয়ে আসমাকে বিয়ে করেন শরিয়তপুরের ডামুইডা এলাকার আব্দুল জলিল বেপারীর ছেলে নূর ইসলাম। বিয়ের পরে শ্বশুর গনি মিয়া তাদের থাকার জন্য ৪ শতাংশ জমি দেন। সেই জমিতে নিজ খরচে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের সংসারে আশরাফুল ইসলাম ও আরশাদুল ইসলাম নামে দুই ছেলে এবং মানসুরা নামে এক মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে আশরাফুল মাদরাসায় এবং অপর ছেলে ও মেয়ে স্কুলে লেখাপড়া করে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে ধারাল অস্ত্র (দা) দিয়ে নূর ইসলামের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। পরে সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য মরদেহ বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ঘটনার সময়ে সন্তানরা মাদরাসায় ও স্কুলে ছিল। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নূর ইসলামের মাথায় আঘাতের চিহ্ন এবং সেখানে গভীর ক্ষত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্ত্রী ও দুই শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
এমআরপি/জেএইচ