ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাবা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাবা

রাজবাড়ী: রাজবাড়ী জেলার কালুখালীতে মো. রুবেল মণ্ডল মোয়া (২৬) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবকের হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন। হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছিলেন তার বাবা মো. খলিলুর রহমান (৬৯)।

 

এ ঘটনায় শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় ঢাকা জেলার আশুলিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) আসামি খলিলুর রহমানকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তার মো. খলিলুর রহমান কালুখালী উপজেলা বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত তাছের মণ্ডলের ছেলে।

কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, গত ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় কালুখালী উপজেলার মোহনপুর রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোডের দক্ষিণ পাশে ধলু মণ্ডলের ধানক্ষেত থেকে প্রতিবন্ধী মো. রুবেল মণ্ডলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রুবেল মণ্ডলের মামা মো. দেলোয়ার হোসেন দিনু (৫৯) বাদী হয়ে কালুখালী থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস আরও জানান, আসামি খলিলুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয় রুবেল। তবে রুবেলকে সন্তান হিসেবে মেনে নেননি তিনি। এরপর খলিলুর রহমান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন। দ্বিতীয় স্ত্রী আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর থেকেই রুবেলকে তার নানি লালনপালন করেন। ১৫ বছর পর্যন্ত সুস্থ থাকলেও পরে মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায় রুবেল। এরপর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াত সে। প্রায় প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে ফিরত।

গত ২৩ আগস্ট বুধবার বিকেল থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না রুবেলকে। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার একটি ধানখেতে অজ্ঞাত একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে রুবেলের স্বজনরা তার মরদেহটি শনাক্ত করে।

ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে বের হয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রুবেলের বাবা খলিলুর জড়িত। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আসামি খলিলুর রহমান তার ছেলে রুবেলকে প্রথমে সেভেন আপের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে। পরে রুবেল অচেতন হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ধানক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।