ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অভাবে শিশুকে দত্তক, মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
অভাবে শিশুকে দত্তক, মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

গাইবান্ধা: ছিনা বেগম। দিনমজুর স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী।

অভাবের সংসারে চায়ের দোকান দিয়ে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছিলেন। এরই মধ্যে তার কোল আলো করে আসে ফুটফুটে একটি ছেলেসন্তান। কিন্তু অভাবের তাড়নায় এবং শিশুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একমাস আগে শিশুকে দত্তক দেন তিনি।

পরবর্তীতে খবরটি নজরে আসে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনের। তার পদক্ষেপে শিশুটি ফিরে পায় তার মায়ের কোল।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ কর্তৃক দত্তক দেওয়া শিশুকে উদ্ধার করে ছিনা বেগমের কোলে তুলে দেন। একই সঙ্গে নগদ অর্থ দিয়েও তাকে সহযোগিতা করা হয়।

পুলিশ জানায়, ছিনা বেগমের বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মাছপাড়ায়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নতুন দুলাল গ্রামের লোকমান হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর অভাবের কারণে নিজে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালানোর চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি ছিনা বেগম একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু অভাবের কারণে এই নবজাতককে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি।  

এক পর্যায়ে নিজের অপারগতা ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গাইবান্ধা সদরের পুলবন্দী এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে সুমন মিয়াকে শিশুটি দত্তক দেন ছিনা। সুমন মিয়া সম্পর্কে ছিনা বেগমের মামাতো ভাই।  

ঘটনাটি গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেনের নজরে আসে এবং তার নির্দেশে সাদুল্লাপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) গোফফার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুলবন্দী থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম রানা বলেন, পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন স্যারের নির্দেশে ১ মাস ২ দিন বয়সী ওই শিশুকে উদ্ধার করে তার মা ছিনা বেগমের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এসময় পুলিশ সুপার স্যারের পক্ষ থেকে মা-ছেলেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।