ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ভূমিকা রাখবে: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
দেশের টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ভূমিকা রাখবে: স্পিকার

ঢাকা: ব্রডব্যান্ড সংযুক্তির বিস্তার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক। দক্ষিণ এশিয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের প্লাটফর্মে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ২৪তম সাউথ এশিয়ান টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরস কাউন্সিলের (এসএটিআরসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম ভূ-উপগ্রহ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশকে ডিজিটাল সংযুক্তির স্বপ্ন দেখান। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গনে নিজের পরিচয় তুলে ধরে।

শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ডিজিটাল সংযুক্তির ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে হাইটেক পার্ক নির্মাণ ও তরুণদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সহজীকরণে কম্পিউটার ও বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করে আসছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এসএটিআরসি ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে একে অপরকে অগ্রাধিকার প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক টেকসই ডিজিটাল ভবিষ্যৎ, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও গুণগত মান, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা, স্যাটেলাইট ও টেরিস্ট্রিয়াল সেবায় তরঙ্গ ব্যবহার ও ফাইভ-জি প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক ও কর্মকৌশল নিয়ে কর্মপরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে ইরানের আইসিটি উপমন্ত্রী ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির প্রেসিডেন্ট আলী রেজা দারবেশীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন এশিয়া প্যাসিফিক টেলিকমিউনিটির মহাসচিব মানাসুরি কুন্দ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।

আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ও আয়োজকদেরকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয় অনুষ্ঠানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।