ঢাকা, শনিবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টানা বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় বিপাকে রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৩
টানা বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় বিপাকে রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষ

ঢাকা: আখলাস উদ্দিন, থাকেন মহাখালীর সাত তলা বস্তি এলাকায়। দিনমজুরের কাজ করেন তিনি।

গত ৩ দিন রাজধানীজুড়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তাই কাজে যেতে পারেননি আখলাস। টানা বৃষ্টিতে পানি জমেছে বসবাসের খুপড়িতেও। কাজে না যেতে পারায় হাতও খালি, পড়েছেন বিপাকে। শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে প্রতিবেদককে এসব কথা জানান তিনি।

এদিকে সরেজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বছর জুড়ে দুই সিটি করপোরেশনের খোঁড়াখুঁড়ি ও উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলেও বৃষ্টি এলেই সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

একটি বেসরকারি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি মারুফ হোসেন। থাকেন মহাখালী দক্ষিণ পাড়া এলাকায়। তার দায়িত্ব দোকান থেকে পণ্যের ক্রয়াদেশ নেওয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩ দিন ধরে ভিজে-ভিজে কাজ করতে হচ্ছে। কোম্পানিতো আর বসিয়ে বেতন দেবে না। সড়কে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে আছে। আজ অসুস্থ হয়ে গেছি। কিন্তু নিরুপায়।

একটি ফুড ডেলিভারি সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করেন আরমান পাটোয়ারী। বৃষ্টিতে দুর্দশা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল তেঁজগাও এলাকায় একটা ডেলিভারি দিতে গিয়েছিলাম। তখন প্রচণ্ড বৃষ্টি। রাস্তায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সাইকেল নিয়ে পড়লাম গর্তে। আহত হয়েছি, শরীর খারাপ। কিন্তু, নিরুপায় হয়ে আজ আবার বেরিয়েছি।

এদিকে সড়কের পাশের চা দোকানি, ফুটপাতের হকারসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টিতে তারা দোকান খুলতে পারেননি দুই দিন ধরে। দুয়েকবার খুললেও বৃষ্টির বাগড়াও ফের মালামাল গুটিয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে তাদের।

অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, মৌসুমি বায়ুর বিদায়বেলায় সাধারণত বৃষ্টি বেড়ে যায়। এবার স্থল নিম্নচাপ এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় বৃষ্টি বেড়ে গেছে। আজ দুপুর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ময়মনসিংহে ৩৭৮ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ৬৫, রাজশাহীতে  ৮১, রংপুরে ১০, সিলেটে ৫১, চট্টগ্রামে ৫৫, খুলনায় ৫ এবং বরিশালে ২ মিলিমিটার করে হয়েছে। বেশি বৃষ্টি হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে নেত্রকোনায় ৩৫১, নিকলিতে ৩১১, টাঙ্গাইলে ২৩০, ফরিদপুরে ২৩০, যশোরে ১১৯, বগুড়ায় ১৩৪, কুমারখালিতে ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৩
এমকে/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।