ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতারণা-ধর্ষণ মামলায় শর্ত সাপেক্ষে পুলিশ কর্মকর্তার জামিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
প্রতারণা-ধর্ষণ মামলায় শর্ত সাপেক্ষে পুলিশ কর্মকর্তার জামিন

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তার করা বিয়ের নামে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছে দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস (৪০)।

মামলায় আদালতের সমনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হাজির হয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ূন কবির।

গত ২ জানুয়ারি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মকর্তা বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। নালিশি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান ফেরদৌসকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়।

বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ূন কবির জানান, পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালত সমন দিয়েছিলেন। তিনি আদালতে হাজির হয়ে বিষয়টি আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তির আবেদন করেন। এই শর্তে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বর্তমানে তাদের হেডকোয়ার্টারে কর্মরত।

মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী জানান, নারী কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তা একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। সেই সূত্রে তারা পূর্বপরিচিত। বরিশাল এসে তাদের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের বিষয়টি নারী কর্মকর্তার স্বামী জানতে পেরে গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে ডিভোর্স দেন। এরপর ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দশম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের বাংলোয় ‘ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী’ ওই নারীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা ফেরদৌসের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে উভয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অংশ নেন। তবে গত বছরের মার্চে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী সন্তানসহ ওই বাংলায় আসেন, তখন বাদীও সেখানে যান। বিয়ে নিবন্ধনের জন্য চাপ দিলে তখন তাকে মারধর করা হয়।

গত বছরের ২২ জুলাই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকার ইস্কাটনে পুলিশ অফিসার্স মেসে যান। ২০২২ সালের ২৫ জুলাই গুলশানের এক বন্ধুর বাসায় তাদের বিয়ে নিবন্ধন হয়। পরে তারা বরিশালে ফিরে আসেন। ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর ফেরদৌস বরিশাল থেকে চলে যান। এরপর যোগাযোগ করা হলে তিনি বিয়ের কথা ‘ভুলে যেতে’ বলেন এবং বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন।

এরপর ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে ওই নারী আইনি নোটিশ পাঠান। জবাব না পেয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করেন ওই নারী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।