ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই ছেলে হত্যার ঘটনায় জড়িত মূলহোতা জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলার একটি ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের মেয়ে আনিকা আক্তারের সঙ্গে তার স্বামী জহিরুলের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সোমবার খালা শাশুড়ি জেকি আক্তারের বাড়িতে আসেন জহিরুল। এ নিয়ে আলোচনার সময় জেকি আক্তার ও জহিরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন জহিরুল। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেকীকে কুপিয়ে হত্যা করেন জহিরুল। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা বড় ছেলে মাহিন এগিয়ে এসে চিৎকার শুরু করলে তাকেও মুখে গামছা পেঁচিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর ছোট ছেলে মহিনের ঘুম ভেঙে গেলে সে দেখে জহিরুলকে চিনে ফেলায় তাকেও বাথরুমের দরজার সামনে ফেলে গলায় বাটাল (স্থানীয় অস্ত্র) ঢুকিয়ে হত্যা করেন। তবে জেকির মেয়ে ওজিফা সাত মাসের শিশু হওয়ায় তিনি তাকে হত্যা করেননি। পরে তিনি ওই বসত ঘরের গেট বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার নিহত জেকি আক্তারের বাবা হাজী আবুল হোসেন বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, ঘাতক জহিরুল হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার পেছনে আরও কোনো তথ্য রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর-ছয়ানি গ্রামে সৌদি প্রবাসী মো. শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার ও দুই ছেলে মাহিন ও মহিনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নিহতের সাত মাস বয়সী কন্যা শিশু ওজিফাকে।
** মা ও দুই ভাই হত্যার শিকার হলেও বেঁচে যায় শিশু ওজিফা
** বাঞ্ছারামপুরে মা ও দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
আরএ