ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মুসলিম উম্মাহর ঐক্যেই ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান: শেখ হাসিনা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যেই ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান: শেখ হাসিনা 

ঢাকা: ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বুধবার (অক্টোবর ১৮) সন্ধ্যায় গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুসলিম উম্মাহ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান সম্ভব।  

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ইরান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, ওমান, কাতার ফিলিস্তিন, মরক্কো, আলজেরিয়া, লিবিয়া ও ব্রুনাইয়ের দূতগণ এ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি জানান, গাজা পরিস্থিতি এবং সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নীতি অনুসরণ করে অতীতের মত ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাংলাদেশ তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য আগামী শুক্রবার সারাদেশের মসজিদ সমূহে জুম্মার নামাজের পর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনাকালে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত গাজা এবং এর আশপাশের এলাকায় ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে এবং ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

ইয়াসেফ রামাদান বলেন, নিরপরাধ শিশু এবং গর্ভবতী নারীরা খ্রিস্টানদের পরিচালিত হাসপাতাল আক্রান্ত হবেনা এমন বিশ্বাসে সেখানে আশ্রয় নেওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে।

এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, যে সমস্ত ফিলিস্তিনি বাংলাদেশের মেডিকেলে পড়াশোনা করেছে তারা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করছে।

রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে ছিলেন- সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লার্বি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলী এম এস আল-কাহতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুতালেব এস এম সুলিমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানিস সেন, শাসক উদ্দিন প্রমুখ। ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ আল দারাজি, ওমানের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ফাথিয়া আল বুলুশি, ইন্দোনেশিয়ার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স রাদেন উসমান এবং মিশরের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
এমইউএম/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।