সাভার (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে হত্যার পর ঘটনা আড়াল করতে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে রেখেছিলেন প্রেমিক রাশেদ হোসেন (২৩)। মরদেহ উদ্ধারের দুই দিন পর অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে ঘটনার আসল রহস্য।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে রাশেদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে তাকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৪ এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের একটি দল। পরে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হত্যার শিকার রুনা আক্তার (২৬) চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার সাছিয়াখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। গ্রামে রুনার আগে বিয়ে হলেও সেই সংসার ভেঙে যায়। সেই ঘরে রুনার ৬ বছরের শিশু সন্তান গ্রামে রেখে গত ৩ মাস আগে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করেন ও পোশাক শ্রমিকের চাকরি নেন।
গ্রেপ্তার রাশেদ রাজবাড়ীর পাংশা থানার বরুরিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় পরিবহণ শ্রমিক।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়ার ওয়ারেস আলীর মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে রুনা নামে পোশাক শ্রমিক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলছিল এবং ঠিক নিচে মেঝেতে পড়েছিল রুনার মরদেহ। প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হবে আত্মহত্যার ঘটনা। যেন ওড়না ছিড়ে লাশ নিচে পড়ে গেছে। উদ্ধারের দুই দিন আগে হত্যার শিকার হন রুনা। রোববার (১৫ অক্টোবর) রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক সুরতহালে বিষয়টি সন্দেহ হয়। সেই সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা করে রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যার শিকার রুনার কয়েক রুম পরেই রাশেদ আরেক কক্ষে থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে প্রেমের সস্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিক বলেন, হত্যাকারী খুব চতুর। হত্যার পর তিনি ওই বাসাতেই বসবাস করছিলেন। মরদেহের দুর্গন্ধ থেকে প্রতিবেশীরা পুলিশের খবর দেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
এসএফ/এফআর