ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উদ্ভাবন ও গবেষণা বৃদ্ধিতে জোটবদ্ধ হলো এফআইআরসি-জিইএন বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
উদ্ভাবন ও গবেষণা বৃদ্ধিতে জোটবদ্ধ হলো এফআইআরসি-জিইএন বাংলাদেশ

ঢাকা: খাতভিত্তিক গবেষণা ও উদ্ভাবনের মধ্যমে দেশের বেসরকারি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে যৌথভাবে কাজ করবে এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এফআইআরসি), গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনরশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (জিইএন বাংলাদেশ) এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি)।

শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর হাঁটখোলায় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে (এফআইআরসি) এ বিষয়ে আলাদা দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআই –এর সাবেক সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। এছাড়া গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনরশিপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ সবুর খান এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি –এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিফ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এফআইআরসি চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, বৈশ্বিক মেরুকরণের ফলে বাংলাদেশ ক্রমেই অন্যতম আকর্ষণীয় বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে উঠছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী লোকবল গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিল্পের সমন্বয় ঘটাতে হবে। আমার বিশ্বাস এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে শিল্পের বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দক্ষ উদ্যোক্তা এবং মানবসম্পদ তৈরির জন্য এফআইআরসি –কে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইন্সটিটিউট হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন মোঃ জসিম উদ্দিন।

এ সময় এফআইআরসি এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুগোপযোগী করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সুযোগ থাকলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এফবিসিসিআই ইনোভেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এফআইআরসি) কাজ করতে পারে।

বর্তমানে প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তথ্য, পরিসংখ্যান এবং গবেষণার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে এফআইআরসি -এর ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মোমেন বলেন, তথ্য বা পরিসংখ্যান ছাড়া একজন নতুন উদ্যোক্তা সেই খাতের বাজার সম্ভাবনা কিভাবে যাচাই করবে? বিনিয়োগে আসার আগে তো তার বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রয়োজন হবে। এখানেই আমাদের সবচে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গবেষণা, উদ্ভাবন ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই -এর পরিচালক মোঃ নিয়াজ আলী চিশতী, সাবেক পরিচালক আক্কাস মাহমুদ, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ, এফআইআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৩
এমকে/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।