ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৩০ মে ২০২৪, ২১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেন দুর্ঘটনা: পাশাপাশি কবরে শায়িত একই পরিবারের ৪ জন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
ট্রেন দুর্ঘটনা: পাশাপাশি কবরে শায়িত একই পরিবারের ৪ জন

ময়মনসিংহ: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নান্দাইলে রাজগাতি ইউনিয়নের বনাটী গ্রামে একই পরিবারের চারজনকে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- রাজগাতী ইউনিয়নের বনাটী গ্রামের বাসিন্দা রইছ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৫), তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩০) ও তাদের শিশু সন্তান সজীব মিয়া ( ৮) ও ইব্রাহীম মিয়া (৫)।

এর আগে সোমবার (২৩ অক্টোবর) নান্দাইল উপজেলার একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন নিহত হয়।

এদিকে এক পরিবারের চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকাবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে নিহতদের জানাজায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। এ সময় নিহতদের স্বজনসহ এলাকাবাসীও কান্নায় ভেঙে পড়ে। এতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নিহত সুজন মিয়ার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, সুজন মিয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করে পরিবারের চার সদস্য নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

এরই মাঝে বৃহস্পতিবার ভাতিজার বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজ বাড়ি নান্দাইলে আসেন সুজন ও তার স্ত্রী ও সন্তানরা। সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সোমবার পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় সপরিবারে নিহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. কদ্দুস বলেন, একসঙ্গে চারজনের জানাজা পড়বো কখনো ভাবতে পারিনি। আল্লাহ্ যে কখন কাকে কীভাবে রাখে কেউ বলতে পারে না। এই পরিবারটির কেউ বেঁচে রইল না। সব শেষ হয়ে গেছে।  

নিহত সুজনের ভাই স্বপন মিয়া বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় ফিরছিলাম। তবে ঘটনার সময় আমি অন্য আরেকটা বগিতে থাকায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাই। এ সময় এই ট্রেন দুর্ঘটনার সঠিক কারণ বের করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল। এ সময় তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দেন।

এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ভৈরব রেলস্টেশনের পাশের জগন্নাথপুর এলাকার মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ভৈরব থাকে ছেড়ে যাওয়া এগারসিন্ধু ট্রেনের পেছনের তিনটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে নিহত ট্রেনে থাকা ১৭ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কিশোরগঞ্জের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।