ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় শিক্ষকের এমপিও আবেদন না পাঠানোর অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
ঘুষের টাকা না দেওয়ায় শিক্ষকের এমপিও আবেদন না পাঠানোর অভিযোগ  উত্তর কলারন দাখিল মাদরাসা

পিরোজপুর: চাহিদামতো ঘুষের টাকা না দেওয়ায় শিক্ষকের এমপিও আবেদন পাঠাননি বলে অভিযোগ উঠেছে জেলার ইন্দুরকানীর এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে।  

অভিযুক্তের নাম আলী হায়দার খান।

তিনি উত্তর কলারন দাখিল মাদরাসা সুপারের দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগকারী হলেন ওই মাদরাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট আবুল কালাম।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদে যোগ দেন আবুল কালাম। এমপিওভুক্ত করতে মাদরাসা সুপার আলী হায়দার খান ওই শিক্ষকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেপ্টেম্বর মাসে এমপিও আবেদন করার কথা থাকলেও সুপার এমপিওর আবেদন করেননি। আবুল কালাম প্রথমে সুপারকে ২০ হাজার টাকা দেন। এমপিও সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আবুল কালামকে না দিয়ে সুপার বলেন, তিনি এমপিও আবেদন করে দেবেন এবং অক্টোবর মাসের ৫ তারিখ সুপার আবুল কালামকে জানান যে তার এমপিও আবেদন করা হয়েছে। কয়েকদিন পর এমপিও কোন অবস্থায় আছে জানতে চাইলে সুপার জানান যে তার এমপিও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর রিজেক্ট করেছে। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল কালামের আদৌ এমপিওর কোনো আবেদন করা হয়নি। পরে মাদরাসা সভাপতির জেরার মুখে সুপার এমপিও আবেদন করেননি বলে স্বীকার করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, এমপিও করার জন্য সুপার আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছেন। সুপারকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। পুরো টাকা না দেওয়ার কারণে তিনি গত দুই মাস ঘুরিয়েও আমার এমপিও আবেদন করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসা সুপার আলী হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, ওই  শিক্ষকের বিলের জন্য এমপিও কাগজ পাঠাতে হয় মাসের ৫ তারিখের মধ্যে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি কম থাকায় সমস্যা হয়েছে। বিল এমপিওর কাগজ পাঠানোর সময় ওই শিক্ষক আমার (সুপার) সঙ্গেই ছিলেন। তার কাছে কোন টাকা চাওয়া হয়নি বা  বিল পাঠানোর কথা বলে তার কাছ থেকে  কোন টাকা নেওয়া হয়নি।  

ওই মাদরাসার সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামে বলেন, এমপিও আবেদনের শেষ সময়ে কাগজ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শেষ সময়ে নেট বিজি (ব্যস্ত) থাকায় আবেদন গ্রহণ করেনি অভিদপ্তরের ওয়েবসাইট। টাকা চাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি (সভাপতি) ওই শিক্ষককে বলেছি টাকা বিষয়ক কোনো সমস্যা হলে আমি সভাপতি হিসেবে দেখব।  

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অলি আহাদ বলেন,  এ ব্যাপারে এখনো আমাকে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা সুপারকে ফোন করেছি। অভিযোগকারী শিক্ষককে নিয়ে তাকে (সুপার) আসতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।