ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘরে মাটি খুঁড়ে মিলল তরুণের মরদেহ, ঘাতক গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
ঘরে মাটি খুঁড়ে মিলল তরুণের মরদেহ, ঘাতক গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ চার মাস পর ঘরের মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ আশরাফুল (১৯) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় ঘাতক মনির হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  ৃ

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা গ্রাম থেকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১৩ রংপুর ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত মৃত আশরাফুল ওই ইউনিয়নের চর খাটামারী গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক ছিলেন বলে জানা গেছে।
 
গ্রেপ্তার মনির লালমনিরহাট পৌরসভার বাবুপাড়া এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে। কুলাঘাট ইউনিয়নের ধাইরখাতা গ্রামে মোখলেছুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, ধাইরখাতা গ্রামের মোখলেছুর রহমান মাস্টারের বাড়িতে একা ভাড়া থাকতেন মনির। বাড়িটি একক ও নির্জন হওয়ায় এ বাড়ি থেকে অপকর্ম করতেন মনির। গত ২৫ জুন অটোরিকশাচালক আশরাফুলকে ভাড়ার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেন মনির। পরে ওইদিন রাতে একজন সহযোগীসহ অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে চালক আশরাফুলের হাত-পা বেঁধে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে মরদেহ ওই বাড়ির একটি ঘরে মাটিতে পুঁতে রাখেন মনির। পরদিন আশরাফুলের খবর না পেয়ে সদর থানা পুলিশের কাছে যান তার পরিবার। সে সময় ওই পরিবারের কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, আশরাফুলের অটোরিকশাসহ তার সন্ধান পেতে টাকা লাগবে। এর পরপরই সদর থানা পুলিশ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। সন্দেহজনক ভাবে সদর থানা পুলিশ এ মামলায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড নিলেও এ ঘটনার কোনো সত্যতা মিলেনি।  

অবশেষে আশরাফুলের ব্যবহৃত ফোনটির সূত্র ধরে চার মাস পর বুধবার (২৫ অক্টোবর) গাজীপুর থেকে ছিনতাইকারী মনিরকে আটক করে র‍্যাব সদস্যরা। পরে মনিরের দেওয়া তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল থেকে আশরাফুলের অটোরিকশাটি উদ্ধার করে র‍্যাব। একইভাবে আটক মনিরের দেওয়া তথ্যমতে, তাকে সঙ্গে নিয়ে ২৬ অক্টোবর বিকেলে ওই বাড়ির ঘরের  ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করে র‍্যাব ও পুলিশ।

পরে মরদেহটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া অপহরণ মামলায় মনিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে র‍্যাব।  

গ্রেপ্তার মনির পেশাদার ছিনতাইকারী এবং তিনি অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে চালক আশরাফুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানায় র‍্যাব। তবে তদন্তের স্বার্থে তার সহযোগীর নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।

অভিযানে রংপুর র‍্যাব-১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম ও লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।