চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় নৌ-পুলিশ ও টাস্কফোর্সের পৃথক অভিযানে ১৪৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১০৪ জেলে, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযানে ৩৯ জেলেকে আটক হয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুর সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নৌ-পুলিশের অভিযানে অভয়াশ্রম এলাকা থেকে ইলিশ ধরা অবস্থায় হাতেনাতে ১০৪ জেলে আটক হয়। এ সময় ৭ লাখ ৫৯ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ৫৭৪ কেজি ইলিশ ও ৩৩টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪২ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, আট জেলেকে ৩৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, ১৬ জেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৩৮ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
ওসি আরও জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট ও নৌকা থানা হেফাজতে রয়েছে।
অপরদিকে, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স অভয়াশ্রম এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টার অভিযানের তথ্য জানিয়েছেন সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
তিনি জানান, অভিযানে আটক ৩৯ আসামির মধ্যে ১০ জনকে একমাস করে, ২৮ জনকে সাতদিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিগার সুলতানা। এক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একই সময় জব্দ করা হয় তিনটি মাছ ধরার নৌকা। এছাড়া অভিযানে জব্দকৃত ৬০ কেজি ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ এবং ৫০ হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
টাস্কফোর্সের অভিযানে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মো. মেহেদী হাসান, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা। অভিযানে নৌ-পুলিশের একাধিক দল ও কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের সহযোগিতা করেন।
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ১২ অক্টোবর থেকে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ, পরিবহন ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। অভিযান চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশে সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এসএম/এসআরএস