ঢাকা: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জেল হত্যা দিবস’ পালন করেছে।
শুক্রবার ( ৩ নভেম্বর) দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে প্রবাসী সরকারের চার প্রধান জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নিজ নিজ ধর্মমতে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, জেল হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক মর্মান্তিক ঘটনা যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাদের অবদানের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত মহান মুক্তিযুদ্ধে চার নেতার অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন ও কাউন্সেলর (ইকনোমিক) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও মিশন উপপ্রধান মালেকা পারভীন বলেন, জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা ছিলেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, তাদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। তাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে।
কাউন্সেলর (ইকনোমিক) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। তিনি চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো মাসূমুর রহমান।
বাংলাদেশ সময় : ১১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২৩
টিআর/এসএএইচ