ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পুলিশের স্মার্ট নজরদারির আওতায় কেরানীগঞ্জ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে পুলিশের স্মার্ট নজরদারির আওতায় কেরানীগঞ্জ অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে তার সেক্রেটারি ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের অর্থায়নে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকাকে অপরাধমুক্ত রাখতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) মাধ্যমে নজরদারি কার্যক্রম শুরু করলো পুলিশ। এই কার্যক্রমে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়নকে ২০০টি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জের সেমন্তী কনভেনশন হলে এ কর্মযজ্ঞের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ। ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে অর্থায়ন করছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।  

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে তার সেক্রেটারি ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান ১০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জের বিশাল একটি জনপদ নিরাপত্তার চাদরে চলে আসছে। বিশেষ করে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা হওয়ায় বিভিন্ন সময় এখানে নানা অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আসায় অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশেই লাঘব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।  

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বক্তব্যের শুরুতে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অর্থায়নকারী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  ছবি: বাংলানিউজতিনি বলেন, কেরানীগঞ্জকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বসুন্ধরা গ্রুপকে আমরা পাশে পেয়েছি।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার সেটি বাস্তবায়নে পুলিশ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। কেরানীগঞ্জের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা জেলা পুলিশের এই উদ্যোগ তারই অংশ। পুলিশ বাহিনী নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত শান্তি সমাবেশের নামে ঢাকাসহ সারা দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, সেখানেও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মাহুতি দিয়েছেন।  

তিনি বলেন, একসময় কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যে কেরানীগঞ্জে কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো না। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতো। সেই অবস্থা এখন আর নেই। আমরা কেরানীগঞ্জকে শান্তির জনপদে পরিণত করেছি। এতে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার কথাও না বললেই নয়।  

নসরুল হামিদ বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা জোরদারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল কেরানীগঞ্জ। এই ধরনের সিসিটিভি দেশের আধুনিক এলাকা ছাড়া আর কোথাও নেই। কেরানীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসতে যাচ্ছে, সেগুলো খুবই অত্যাধুনিক। প্রতিটি অলি-গলিতে আমরা ক্যামেরা স্থাপন করবো। এর মধ্য দিয়ে কেরানীগঞ্জের মানুষকে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিয়ে যাবে পুলিশ। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা কেরানীগঞ্জকে শতভাগ অপরাধমুক্ত ঘোষণা করব ইনশাআল্লাহ।  

তিনি বলেন, ১৯০৫ সালে ঢাকার নবাববাড়িতে প্রথম বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৯৭ বছরে পাকিস্তান শাসনামলসহ সব সরকারের নেতৃত্বে মাত্র ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতায়ন হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৩ বছরে আমরা সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পেরেছি। এখন সমগ্র বাংলাদেশ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।  

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সেক্রেটারি ও গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।  ছবি: বাংলানিউজঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান। আরও অতিথি ছিলেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিচালক মাকসুদুর রহমান, চিফ প্রটোকল অফিসার মেজর (অব.) মোহসীনুল, একান্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম মো. শ্যামল, দৈনিক কালের কণ্ঠের উপ-সম্পাদক হায়দার আলী, নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের ডেপুটি সিএনই আশিকুর রহমান শ্রাবণ, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সেক্রেটারিয়েট টিমের সদস্য রণিত সেন, মারুফ কাজী ও সোহেল।  

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর শাহ খুশী, সাকুর হোসেন সাকু, সাইদুর রহমান চৌধুরী ফারুক, ব্যবসায়ী স্বাধীন শেখ প্রমুখ।  

উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক সৈয়দ নুরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের যে সুফল কেরানীগঞ্জের মানুষ পাবে, তার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না।  

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম।  ছবি: বাংলানিউজউদাহরণ টেনে তিনি বলেন, গাজীপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সড়কে ব্যাপক ডাকাতির ঘটনা ঘটতো। আমি দায়বদ্ধতা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটারজুড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে দিয়েছিলাম। এরপর থেকে ডাকাতি, অতিরিক্ত গতিতে গাড়িচালনা থেকে শুরু করে অপরাধ কর্মকাণ্ড অনেকাংশেই লাঘব হয়ে গেছে। কোনো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে যেকোনো অপরাধী অপরাধ সংঘটনের আগে চিন্তাভাবনা করবে। কেরানীগঞ্জে যে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে, সেটি হবে দেশের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তির। এ কাজে এগিয়ে এসে বসুন্ধরা গ্রুপ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা জোরদারে বড় অবদান রাখল।  

কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, অনেকগুলো চোখ, যা দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা কেরানীগঞ্জের মানুষকে নিরাপত্তা দেবে, সেই চোখগুলোর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। নাগরিকদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পাশাপাশি এই সিসিটিভি ক্যামেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে আসায় কেরানীগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে আমি বসুন্ধরা গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন, তারই অংশ এটি। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কেরানীগঞ্জের ৯৯ শতাংশ অপরাধ দমন হবে বলে আমি মনে করি।  

সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সোনার মানুষ লাগে। দক্ষ জনশক্তি এবং প্রযুক্তির মেলবন্ধন এই দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। রাষ্ট্রের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্তকারী অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে সিসিটিভি নজরদারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ঢাকা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন। এটি বাস্তবায়নে বসুন্ধরা গ্রুপের মতো একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এগিয়ে এসেছে, তা আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করেছে।  

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম. ই. মামুন বলেন, প্রতিটি নাগরিকের সব নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কেরানীগঞ্জে সে কাজটি শুরু হচ্ছে, এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জকে অপরাধমুক্ত করতে বেশ আগে থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেই পদক্ষেপ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।  

ছবি: ডিএইচ বাদলকেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, কেরানীগঞ্জ একটি উন্নয়নশীল এলাকা। আবাসনের পাশাপাশি এখানে প্রচুর শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকায় ভাসমান লোকের সংখ্যা বেশি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা পুরো কেরানীগঞ্জ এলাকাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করি। সেই অনুযায়ী আমরা প্রাথমিকভাবে একটি প্রকল্প হাতে নিই। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে জানালে তিনি আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। সেই অনুযায়ী পুরো কেরানীগঞ্জকে ২০০টি সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা হয়। এক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার একটি বাজেট ধরা হয়। কেরানীগঞ্জে আমাদের আওতায় মোট পাঁচটি ইউনিয়নকে চারটি জোনে ভাগ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, নির্ধারিত এলাকাগুলোতে মাদক কেনাবেচার একটি হাব রয়েছে। ব্যবসায়ী এলাকা হওয়ায় ছিনতাই, চুরি এবং ডাকাতির ঘটনাও প্রায়শই ঘটে থাকে। তাই এই পুরো এলাকাকে নিরাপদ রাখতে সিসি ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে নজরদারি করতে আমাদের খুব সুবিধা হবে। তাছাড়া কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকলে সিসি ক্যামেরা দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করাও অনেক সহজ হবে।  

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় এই পরিকল্পনা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, এসব ঘটনাও নিয়মিত নজরদারিতে রাখতে পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা দরকার।  

জানা গেছে, এ কার্যক্রমে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিচ্ছে থ্রি এস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকার নজরদারিতেও প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার কাজ করছে। এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে কেরানীগঞ্জের প্রায় অর্ধেক এলাকা নজরদারির আওতায় আসতে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জে বিপুল জনগোষ্ঠী বসবাস করে। শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠায় এবং রাজধানীর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই এখানে ঘনবসতি। ফলে এখানে অপরাধপ্রবণতাও বেশি। বিশাল এই এলাকাকে সিসিটিভির মাধ্যমে প্রশাসনের নজরদারির আওতায় আনার যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, এতে অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশেই লাঘব হবে।  

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ঢাকার নিকটবর্তী এলাকার মধ্যে কেরানীগঞ্জ সবচেয়ে বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকা। এখানে অনেক সময় বেওয়ারিশ মরদেহ পাওয়া যায়; অর্থাৎ অপরাধীরা বিভিন্ন স্থানে খুন করে নিরাপদ এলাকা মনে করে মরদেহ এখানে ফেলে যায়। বিশেষ করে শুভাঢ্যা, জিনজিরা, কোন্ডা, তেঘরিয়া- অপরাধপ্রবণতা বেশি এমন স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।