ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জবি উপাচার্যের মৃত্যতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের শোক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
জবি উপাচার্যের মৃত্যতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের শোক

ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

শনিবার (১১ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ড. মো. ইমদাদুল হক শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। মরহুমের স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তান আছে।

শোক বার্তায় ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর আলমগীর বলেন, প্রফেসর ইমদাদুল হক একজন বিশিষ্ট উদ্ভিদবিজ্ঞানী, দক্ষ প্রশাসক ও সংগঠক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

তিনি ঢাবির জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও সদস্য, বাংলাদেশ উদ্ভিদবিজ্ঞান সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজির সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট শিক্ষক ও অভিভাবককে হারালো। এ গবেষকের মৃত্যু দেশ, জাতি, শিক্ষা পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

প্রফেসর আলমগীর মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

২০২১ সালের ১ জুন তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পান ড. মো. ইমদাদুল হক। তিনি জন্মগ্রহণ করেন পাবনা জেলায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালে এমএসসি এবং ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একাধিক পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৩
এমআইএইচ/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।