ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জালিয়াতি: আন্তর্জাতিক জার্নাল থেকে বাংলাদেশি ৫ অধ্যাপকের গবেষণা প্রত্যাহার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
জালিয়াতি: আন্তর্জাতিক জার্নাল থেকে বাংলাদেশি ৫ অধ্যাপকের গবেষণা প্রত্যাহার

ঢাকা: গবেষণাপত্রে জালিয়াতির অভিযোগে কোরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জার্নাল বায়োলজিক্যাল মেডিকেল সেন্টার (বিএমসি) বাংলাদেশি ৫ অধ্যাপকের গবেষণা প্রত্যাহার করেছে।

প্রত্যাহার হওয়া অধ্যাপকদের মধ্যে তিনজন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)।

অপর দুজন (সহ–লেখক) হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অধ্যাপক। তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশ হয় ৬ বছর আগে।

বিএমসির প্রত্যাহারপত্রে বলা হয়েছে, গবেষকেরা নিজেদের ২০১৫ সালের একটি প্রকাশনার তথ্য ব্যবহার ও পরীক্ষা–নিরীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্যসহ অন্যান্য গবেষণার উপাদান কমিয়ে–বাড়িয়ে ফলাফল তৈরি করেছেন। এ ছাড়া পশু গবেষণার জন্য নৈতিক অনুমোদন নেওয়ার তথ্যও মিথ্যা ছিল। কারণ, শাবিপ্রবিতে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ ধরনের কোনো কমিটি ছিল না। এ ব্যাপারে গবেষকেরা জার্নালের প্রধান সম্পাদককে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ফলে জার্নালের প্রধান সম্পাদক এই গবেষণা নিবন্ধে উপস্থাপিত তথ্যের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। তাই গবেষণাটি তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

তবে প্রধান গবেষক বিএমসি জার্নালের প্রধান সম্পাদকের এসব অভিযোগ মানতে নারাজ।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ‘ট্রাইড্যাক্স প্রোকাম্বেন্স ফ্ল্যাভোনয়েডস: অ্যা প্রসপেক্টিভ বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড ইনক্রিজড অস্টিওব্লাস্ট ডিফারেনসিয়েশন অ্যান্ড ট্র্যাবেকুলার বোন ফরমেশন’ শিরোনামে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চলতি বছরের ৭ জুলাই প্রত্যাহার করেছে কোরিয়া–ভিত্তিক ওই আন্তর্জাতিক সাময়িকী।

শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, তার স্ত্রী নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনা খাতুন, লাইফ সায়েন্স অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত পুষ্টি এবং খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাসিহুল আলম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম আল বারি এই গবেষণাপত্রটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

অভিযোগের ব্যাপারে পুরো একমত নন শাবিপ্রবির লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি দাবি করেন, অনেক বাড়িয়ে বলা হয়েছে। তবে আমাদের যতটা ফ্যাসিলিটি থাকা দরকার, বা আমেরিকায় যে ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে, আমাদের সেটা নেই।

গবেষণাপত্রটির সহ–লেখক শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, গবেষণাটির পুরো কাজ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন করেছেন। আমি এ রকম কিছু জানি না। ভালো রিসার্চ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কুড়াচ্ছি। হয়তো এটা কারও সহ্য হচ্ছে না। এ জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ আনা হচ্ছে।

এই বিষয়ে শাবিপ্রবির উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসাইন বলেন, চৌর্যবৃত্তি ধরার জন্য আমাদের সফটওয়্যার ডেভেলপ করা আছে। বিষয়টি প্রথম শুনলাম, কারা কী করেছে, জানি না। তবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।