ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা অমানবিক: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা অমানবিক: শেখ হাসিনা সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করে, তারা অমানবিক।  

সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মঙ্গলবার (নভেম্বর ২১) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে হত্যা করে সেই লাশের ওপর পা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা যারা করে তাদের মতো অমানবিক আমি আর কোথাও দেখি না। ভাবতে অবাক লাগে।  

তিনি বলেন, জানি না, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে... কেন মারে সেটিই আমার কাছে প্রশ্ন? আর এই যে সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, বাসে আগুন দেওয়া, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করা, এটি কী কারণে, তা আমার কাছে এখনো বোধগম্য না।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটির পর একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি। যেমন, কোভিড-১৯ আমরা মোকাবিলা করলাম। এ ছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ধরনের ঝামেলা মাঝে মাঝে শুরু হয়।  

শান্তি চান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শান্তি চাই। শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, আঞ্চলিকভাবে এবং সারা বিশ্বে শান্তি চাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত সুস্পষ্ট- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ, মানুষ যখন একটু শান্তিতে ছিল, স্বস্তিতে ছিল, মানুষ একটু আশার আলো দেখছিল, সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সে সময় অগ্নিসন্ত্রাস, হরতাল ও অবরোধ মানুষের জীবনকে আবার ব্যাহত করছে, শঙ্কার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে, এটিই হলো সবচেয়ে কষ্টের বিষয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এটিই চাই, যারা এগুলো করছে অন্তত তাদের একটু আক্কেল-ঠিকানা আসুক। এভাবে ধ্বংসাত্মক কাজ না করে গণতান্ত্রিক ধারায় যোগ দিক, জনগণের ওপর আস্থা রাখুক, বিশ্বাস রাখুক।

দেশকে আরও এগিয়ে নিতে চান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা, ভাই সব হারিয়েছি। আমার হারানোরও কিছু নেই, পাওয়ারও কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। এ বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে ২০২৬ সালে। ২৬ সালে এই যাত্রা যেন ভালো ভাবে করতে পারি। ইতোমধ্যে আমরা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। বাংলাদেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা কেউ যেন বন্ধ করতে না পারে সেটিই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সশস্ত্র বাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তিতে বাস করতে চাই। কিন্তু আমার দেশকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যেন যথাযথ প্রস্তুতি আমাদের থাকে, তা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।  

তিনি বলেন, আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা প্রস্তুত অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী কাজ করবে।

সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিতে সমরে সব জায়গায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সদা সচেষ্ট এবং শক্তিশালী। তাদের শক্তিশালী হিসেবে আমরা গড়ে তুলছি।  

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যেকোনো দুর্যোগ দেখা দিলে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর মানুষের পাশে দাঁড়ায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
এমইউএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।